যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য ১৯টি পশ্চিমা দেশ বুধবার আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের অধিকার নিশ্চিৎ করতে তালেবান নেতাদের প্রতি আওভান জানিয়েছে। দেশগুলি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং “চলাফেরার অধিকার” সম্পর্কে “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”।
তালেবানরা ইসলামী আইনের অধীনে নারীদের অধিকারকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একদিন পর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এই বিবৃতি দিলো। নারীদের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে, যেমনটি যুদ্ধের আগে তালেবান শাসন আমলে হয়েছিল, এমন উদ্বেগ কমানোর লক্ষ্যে এটি বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “অন্য সব আফগান জনগণের মতোই সেখানকার নারী ও মেয়েরা নিরাপত্তা এবং যথাযথ মর্যাদার সাথে বসবাসের যোগ্য”। “সেখানে কোনো ধরনের বৈষম্য ও অপব্যবহার প্রতিহত করা উচিত। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের মানবিক সহায়তা করতে প্রস্তুত, যাতে তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়”।
দেশগুলি আরও বলেছে, “গত বিশ বছরে যেভাবে অধিকার এবং স্বাধীনতা আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, তেমনিভাবে ভবিষ্যতে যারাই সরকার গঠন করুক, তারা যেন তাঁদের অধিকার এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করে, তা তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে”।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবান শাসন আমলে যেমন মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল এবং মহিলাদের পুরুষদের সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়েছিল, এরকমটা আর হবে না উল্লেখ করে তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, নতুন তালেবান সরকার “নিশ্চিৎভাবেই ভিন্ন” হবে।
মুজাহিদ বিস্তারিত না জানিয়ে বলেন, তালেবান নেতারা “ইসলামের নীতি অনুযায়ী নারীদের কাজ করতে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
পাঁচ বছর দেশ শাসন করার পর, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর, আমেরিকান নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আক্রমণে তালেবানদের আফগানিস্তান থেকে উৎখাত করা হয়েছিল।