বাইডেন প্রশাসন কিউবার ৮জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।প্রশাসন জানিয়েছে তারা বিরোধী প্রতিবাদকারী ও ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক অন্যায় কাজে সম্পৃক্ত ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেন। ঐ বিবৃতিতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের উপর চলমান দমনের নিন্দা প্রকাশ করা হয়। এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল গত জুলাই মাসে এবং তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত কারাদণ্ডাদেশকে কঠোর ও অন্যায্য বলে উল্লেখ করা হয়।
এই ৮জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে ব্লিংকেন বলেন এরা সবাই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের আটক, শাস্তি ও কারাদণ্ডাদেশের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ১১ই জুলাইয়ের পর কমিউনিস্ট এই দ্বীপটিতে মুক্তির আবেদন সত্ত্বেও, প্রায় ৬০০ লোক কারাগারে রয়েছেন।
ব্লিংকেন বলেন অব্যাহত ভয়ভীতি প্রদর্শন, অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড এবং চরম দণ্ডাদেশ এবং কঠোর শাস্তি দান করে কিউবা সরকার যেভাবে কিউবানদের স্বাধীনতা ও অধিকারকে খর্ব করছে যুক্তরাষ্ট্র তার জবাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাই হচ্ছে কিউবার বিরুদ্ধে সর্ব-সাম্প্রতিক ব্যবস্থা, যা বিশেষত দ্বীপটির বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত কঠোর নীতিরই অনুসরণ করেছে। নভেম্বরের শেষ ভাগে ব্লিংকেন প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক আচরণের জন্য কিউবার ৯জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেন।
ব্লিংকেন বলেন, “রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, কিউবার জনগণের বৃহত্তর স্বাধীনতার দাবি এবং জবাবদিহিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সব ধরণের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রেখেছে।
জুলাই মাসে সমগ্র কিউবা জুড়ে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী পণ্য ও বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্য রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন, যা ছিল সাম্প্রতিক ইতিহাসে কমিউনিস্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ।
কিউবার কর্তৃপক্ষ জানায় এসব বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রই ছিল প্রধান উৎসাহদাতা শক্তি।