উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ‘একটি নতুন কর্মক্ষম যুদ্ধ পরিকল্পনা’ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেন নতুন পরিকল্পনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় এক দশক আগে নেয়া কৌশল, যাতে তাদের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতি বেশী গুরুত্ব দেয়া হতো, পিয়ংইয়ং এর সামরিক উন্নয়নের প্রতি নয়, তা পাল্টানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার লক্ষ্যে সিউলে যাওয়ার সময় প্রতিরক্ষা বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “এটাই হচ্ছে সঠিক কাজ”।
তিনি বলেন, “ডিপিআরকে তাদের সামর্থ্য বাড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে কৌশলগত পরিবেশ বদলেছে”।
গত সেপ্টেম্বর থেকে পিয়ংইয়ং এর ধারাবাহিক অস্ত্র পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর কোরিয়ার যেসব অস্ত্র পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, একটি স্বল্প মেয়াদী ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিক থেকে ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক গ্লাইড বলে দাবী করেছিল।
চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কা থাকার পরও অস্টিন আশা করছেন আলোচনার মাধ্যমে ঐ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতি প্রতিষ্ঠায় সিউল আরও বড়ো ভূমিকা পালন করবে।
তাইওয়ানের অবস্থান এবং বেইজিং এর ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, “গোটা অঞ্চলের স্বার্থে তাইওয়ান প্রণালীর কাছে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা হওয়া প্রয়োজন”।