যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলের বেশ কিছু স্থানে শুক্রবার কয়েক দফা অমৌসুমি টর্নেডোর আঘাতে কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছেন। সাধারণত বসন্তকালে দেখা যায়, এমন আবহাওয়ার ফলোশ্রুতিতে সৃষ্ট টর্নেডোর আঘাতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার কেন্টাকি রাজ্যের গভর্নর বলেছেন ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ৭০ থেকে ১০০ জন মারা গেছেন। কেন্টাকির মেফিল্ডে একটি মোম কারখানা ঘূর্ণিঝড়ে ধ্বংস হয়েছে। কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ জনকে। কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশির বলেছেন কারখানার ধ্বংসস্তূপে আরও কাউকে জীবিত পাওয়া গেলে তা হবে ‘অলৌকিক ঘটনা’। শহরের অগ্নি নির্বাপক বিভাগের প্রধান এবং ইএমএস পরিচালক জেরেমি ক্রিসন বলেন, “জীবিতদের উদ্ধার করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে আমাদেরকে হতাহতদের ওপর দিয়ে হামাগুড়ি দিতে হয়েছে”। সংবাদ সম্মেলনে বেশির বলেন, “রাজ্যের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়”। ইলিনয় রাজ্যের গভর্নর জে বি প্রিটজকার শনিবার বলেছেন শুক্রবার মধ্যরাতে অ্যামাজনের একটি ওয়্যারহাউজের শিফট চেঞ্জ হওয়ার মাঝখানে টর্নেডো আঘাত হানলে ভবনটি ধ্বসে পড়ে ছয়জন প্রাণ হারান। শিফট চেঞ্জ হওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিতভাবে জানে না আরও কেউ গণনার বাইরে আছে কি না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড় আঘাত করা আরকানস, ইলিনয়, কেন্টাকি, মিসৌরি এবং টেনেসি এই পাঁচটি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফেডারেল তহবিল জরুরীভাবে ব্যবহার করার জন্যে কেন্টাকি রাজ্যকে অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। শনিবার রাত পর্যন্ত পাঁচটি রাজ্যে ৩৬ জন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্টাকিতে ২২ জন, ইলিনয়তে অ্যামাজন ওয়ারহাউজে ছয়জন, টেনেসিতে চারজন, আরকানসয় দুইজন এবং মিসৌরিতে দুইজন। (প্রতিবেদনটির কিছু অংশ এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেয়া)টর্নেডোর আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্ততঃ ৭০ জন নিহত, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশংকা
