অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দান প্রক্রিয়া নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমক্র্যাটরা আদালতের দ্বারে


যুক্তরাষ্ট্রে ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনের আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে লক্ষ লক্ষ আমেরিকান হয় ডাক যোগে নয়ত আগাম নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে তাঁদের ভোট দিয়ে এসেছেন। করোনাভাইরাসের মুখোমুখি হয়ে অনেক অঙ্গরাজ্যই বলছে যে ডাকযোগে ভোট দেয়াটা সহজ, ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশানের এক গবেষণায় হিসেব করা হয়েছে যে ভোটারদের মধ্যে অর্ধেক কিংবা তারও বেশি ভোট দেবেন ডাক মারফত্ কিংবা আগাম ভোট প্রদান করে।

তবে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ভোট কি ভাবে দেয়া হবে এবং কি ভাবে গণনা করা হবে সে নিয়ে মাসখানেক ধরেই আদালতে দু’ দলের মধ্যে লড়াই চলছে এবং এতে এ রকম আশংকা দেখা দিয়েছে যে নির্বাচনের ফলাফল যদি খুব কাছাকাছি হয়, তা হলে হয়ত নির্বাচনের পরেও এ নিয়ে লড়াই চলবে । এই সোমবার সন্ধ্যায়, ফেডারেল আপিল আদালত টেক্সাসের গভর্ণর গ্রেগ অ্যাবটের সাম্প্রতিক নির্দেশ পুণর্বহাল করেছে যেখানে আগাম ভোট দেয়ার ব্যবস্থা প্রতিটি কাউন্টিতে একটি করে খোলা থাকবে। তবে বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংস্থাগুলো এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই টেক্সাসে কাউন্টিগুলো খুব বড় এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভোটদাতা এবং অন্যদেরও ভোট দিতে হলে কয়েক ঘন্টা ধরে ড্রাইভ করতে হবে। ভোটদানের বাক্স নিয়ে একই ধরণের মামলায় ভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে পেনসিলভেনিয়ায়।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পুননির্বাচনী দলের তরফ থেকে করা একটি মামলা গত শনিবার একটি ফেডারেল আদালত নাকচ করে দিয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার অভিযানকারীরা বলছেন নিরাপত্তার কারণে ভোটদানের বাক্সের সংখ্যা সীমিত করার প্রয়োজন আছে। পেনসিলভেনিয়ার ডেমক্র্যাট এবং নাগরিক অধিকার গোষ্ঠিগুলো ঐ মামলার বিরোধীতা করেছিল। আদালত সেটি খারিজ কর দেয়ায় ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রচার অভিযানকারীরা বলছেন তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

XS
SM
MD
LG