অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে


যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জন্স হপকিন্সের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের হিসেবে অনুযায়ী ২,১৬,৭২২ জন যুক্তরাষ্ট্রে এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং গোটা বিশ্বে এই সংক্রমণের সংখ্যা ৯,৪১,৯৪৯ জন, মারা গেছেন মোট ৪৭,৫২২ জন । নিউ ইয়র্ক সিটিতেই এ পর্যন্ত তেরোশোরও বেশি লোক মারা গেছেন। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস এঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গার্সেটি জনসাধারণকে মুখ-নাক ঢেকে রাখতে বলেছেন। তিনি বলেন জনগণের উচিৎ হবে না দুষ্প্রাপ্য মেডিকেল মাস্ক পরা , যা কীনা স্বাস্থ্য বিষয়ক পেশাদারি লোকজনের প্রয়োজন। তাই জনগণ যদি কাপড়ের মাস্ক পরেন , তা হলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখনও পর্যন্ত লোকজনকে মাস্ক পরার ব্যাপারে কিছু বলেননি। গার্সেটিও এ বিষয়টি পরিস্কার করে দিয়েছেন যে মাস্ক পরতে বলা মানে এই নয় যে তাদের সবাইকে হঠাৎ করে ঘরের বাইরে যেতে বলা হচ্ছে। খাদ্য কেনাকাটার মতো জরুরি কাজ ছাড়া তারা যেন বাড়ির বাইরে না যান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক Tedros Adhanom Ghebreyesus বলেন তিনি এই রোগের অত্যন্ত দ্রুত বিস্তারে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। আবদ্ধ থাকার নির্দেশিত এলাকার দরিদ্রতম এবং বিপন্ন লোকজন যে চাপের মুখে পড়েছেন সে ব্যাপারে তিনি তাঁর উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো, যাদের হয়ত সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বৃদ্ধির মতো সম্পদ নেই তাদের সাহায্য করার ও আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের Centers for Disease Control and Prevention বা CDC গতকালই সতর্ক করে দিয়েছে যে , যে কোন লোক করোনা ভাইরাস নিজের দেহে বহন করতে পারে যদিও বাহ্যত করোনাভাইরাসের লক্ষণ হয়তো দেখা যাচ্ছে না। তারা সিঙ্গাপুরের একটি গবেষণা কথা নিশ্চিত করেন যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দশ শতাংশই তাদের মধ্যে থেকে ছড়িয়েছে যাদের মধ্যে অসুস্থ হবার কোন লক্ষণই ছিল না। CDC বলছে এই গবেষণা আবারও শারীরিক দূরত্ব প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরছে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্বেচ্ছায় একাকী থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে এই সংক্রামক ব্যাধিকে পরাস্ত করতে ব্রিটেন ব্যাপক হারে রোগ পরীক্ষা বৃদ্ধি করবে। মৃত্যুর সংখ্যার দিকে ইটালির সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ সেখানে এই সংক্রামক রোগে তেরো হাজারের ও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন। স্পেনেও দশ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছেন। এ দুটি দেশেই লক ডাউন অব্যাহত আছে। বেলজিয়াম তার আয়তনের তুলনায় অধিক সংখ্যক লোকের আক্রান্ত হবার খবর দিয়েছে। তারা আজ জানিয়েছে সেখানে ১৫,০০০ এর ও বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক হাজারের ও বেশি লোক মারা গেছেন। মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রক অন্য দেশে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মেক্সিকানদের তাদের দেশে যেতে নিষেধ করেছে । ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে দেশটির নেতা ইয়াকফ লিটজম্যান করোনাভাইরানে আক্রান্ত হয়ে এখন স্বেচ্ছায় একাকী রয়েছেন।

XS
SM
MD
LG