অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারের মানুষের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র


যুক্তরাষ্ট্রের the Committee on Foreign Affairs এর উদ্যোগে মিয়ানমার সংক্রান্ত এক শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার The Unfolding Crisis in Burma শীর্ষক এই ভার্চুয়াল শুনানীর শুরুতে কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান Gregory W. Meeks মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:04:05 0:00

তিনি বলছিলেন, মিয়ানমার গনতন্ত্রে ফেরার আগে ২০১৫ সালে এবং ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা দেখেছি এবং এখন ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর এর বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর নির্যাতন দেখছি। ৭৫০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫০ জনের বেশি শিশু রয়েছে এবং একটি শিশুর বয়স ৬ বছর। পরিস্কার বার্তা দিতে চাই, আমরা মিয়ানমারের মানুষের পাশে আছি। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের জন্য, আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি, যাতে এখনই নির্যাতন বন্ধ করা যায় এবং জেলে থাকা রাজনীতিবিদসহ অন্যদের মুক্ত করা যায়।

এরপর শুনানীতে অংশ নেওয়া তিনজন সাক্ষী মিয়ানমারের মাঠ পর্যায়ের নানা বিষয় কমিটির কাছে তুলে ধরেন। এসময় জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি Kyaw Moe Tun বলছিলেন, কেবল মিয়ানমারই গনতন্ত্রের পথ থেকে সরে আসা প্রত্যক্ষ করছে না, এই সংকট আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও বিপদজনক হয়ে উঠছে। মিয়ানমারের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ন্যাশনাল ইউনিটি গভার্নমেন্ট এবং মিয়ানমারের জনগনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র নানা পদক্ষেপ গ্রহন করায় ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে মিয়ানমার সংকট সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেবার অনুরোধ করছি।

The Advisory Board Progressive Voice এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান Khin Ohmar বলেন, বেআইনী ভাবে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকেই মিয়ানমারের লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে অনেক পুলিশ ও সেনা সদস্য একত্রিত হয়েছেন। বেসামরিক মানুষের অমান্যতা আন্দোলনের ফলে সামরিক বাহিনী সরকার, ব্যাংক ও হাসপাতালসহ নানা ক্ষেত্রে কার্যকর নিয়ন্ত্রন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সামরিক বাহিনীর ক্যু ব্যর্থ হতে চলেছে। এর জবাবে সামরিক জান্তা দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদের অপপ্রচার চালিয়ে, মানুষকে জোর করে আনুগত্য করাতে চায়।

Khin Ohmar এবং Kyaw Moe Tun শুনানীতে মিয়ানমারে নো ফ্লাইং জোন ঘোষনা, আর্ন্তজাতিক ব্যবসা-বানিজ্য বন্ধ করা, সামরিক কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, নিষেধাজ্ঞা আরো জোরদার করার সুপারিশ করেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তরের পালা। এসময় Global Women’s Issues এর সাবেক Ambassador-at-Large Kelley E. Currie এর কাছে কংগ্রেসম্যানরা মিয়ানমার সংকট নিয়ে চীন ও রাশিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারে চীনের ব্যবসায়িক স্বার্থ থাকলেও, চীন পূর্বের মত সুবিধাজনক অবস্থানে নেই।

কংগ্রেসম্যান Brad Sherman রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিয়ে ন্যাশনাল ইউনিটি গভার্নমেন্ট এর ভাবনা জানতে চাইলে, জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি Kyaw Moe Tun মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান।

XS
SM
MD
LG