যুক্তরাষ্ট্র সেনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের নেতারা আজ দুটি বিলের ওপর ভোট দেবেন। একটি হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়াল নির্মাণের অর্থবরাদ্দ এবং সেই সঙ্গে সরকারী কার্যক্রমের জন্য ফেব্রুয়ারী মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত ব্যয়বরাদ্দ অনুমোদন করার বিষয়ে প্রতিনিধি পরিষদে যে বিলটি পাশ হয়েছে তার ওপর ভোট হবে। এই বিলটি পাশ না হলে ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখ থেকে সরকারী কাজকর্ম যে আংশিক বন্ধ রয়েছে, তার অবসান হবে না।
রাজধানী শহরে নামী শেফ হোসে আঁন্দ্রে নিখরচে সরকারী কর্মচারী যারা বেতন পাচ্ছেন না, তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করছেন। প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার ন্যান্সী পেলোসি সেখানে যান এবং তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারী কাজকর্ম শুরু না হলে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্প পরিকল্পনার ওপর ভোট দেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা চাই না যে প্রেসিডেন্টের যে কোন কাজে আপত্তি থাকলে তিনি বলবেন যে, আপনারা যদি আমার সঙ্গে একমত না হন, তা হলে আমি সরকারের কাজকর্ম বন্ধ করে দেবো। আমরা যদি কর্মচারীদের এখন জিম্মী করে রাখি, তা হলে তারা সবসময়েই জিম্মী হয়ে থাকবেন।’
ট্রাম্প যেসব ছেলেমেয়েদের অবৈধভাবে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয়, তাদের আইনগতভাবে রক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা সেটাও নাকচ করে দিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন যে, তিনিই অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই সেই প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করেছেন। সেনেটে সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার বলেন, ‘এ হচ্ছে যেন চোরাই মালের জন্য দরকষাকষি করা'।
সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, ‘এই প্রস্তাব নাকচ করতে হলে, ডেমোক্র্যাটদের– সরকারী কর্মচারী, ডাকার সুবিধাভোগী, সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার এবং একটি স্থিতিশীল নির্ধারিত সরকারী ব্যয়বরাদ্দের চাইতে, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে'।
ওদিকে সুপ্রীম কোর্ট বলেছে যে, তারা ডাকার ওপর কোন হস্তক্ষেপ করবে না, অর্থাৎ এই আইনটি এখন বলবৎ থাকবে।
এই দুটি বিল পাশ হওয়ার জন্য ৬০টি ভোটের প্রয়োজন আর তা না হলে হয়তো, আরও বহু সরকারী কর্মীদের আগামী দিনগুলোয় নিখরচে খাবারের ওপর নির্ভর করতে হবে।