অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীন বলছে তারা তালিবানের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত


চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া প্রকাশিত এই ছবিতে, চীনের তিয়ানজিনে বৈঠকের সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারকে দেখা যাচ্ছে। জুলাই ২৮, ২০২১।
চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া প্রকাশিত এই ছবিতে, চীনের তিয়ানজিনে বৈঠকের সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারকে দেখা যাচ্ছে। জুলাই ২৮, ২০২১।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে চীন বলছে, তালিবানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তারা অগ্রসর হতে প্রস্তুত। কিন্তু পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যৎ কি হতে যাচ্ছে তা নিয়ে বেইজিং শঙ্কিত এবং হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের জন্য বড় আকারের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার চীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, দুই মন্ত্রী নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানে নিজ নিজ প্রয়াস নিয়ে আলোচনা করেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, "চীন আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং দেশটির সব পক্ষের ইচ্ছার প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখানোর ভিত্তিতে তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং আফগান ইস্যুটির রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে আসছে"।

তালিবানকে আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসাবে অনুমোদন দেবার জন্য চীন যে ভিত্তি তৈরী করছে, হুয়ার এই মন্তব্যকে তার সবশেষ ইঙ্গিত হিসাবে দেখা হচ্ছে।

তিয়ানজিনে গত ২৮ জুলাই তালিবানের রাজনৈতিক প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সাক্ষাৎ করেন। চীন বলছে যে, তারা আশা করছে আফগান তালিবান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জাতিগত গোষ্ঠীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে একটি বিস্তৃত এবং অর্ন্তভুক্তিমূলক রাজনৈতিক কাঠামো গঠন করবে।

চীন ঐসব প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে একটি, যারা আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের পর ১৯৯৩ সালে তাদের কূটনীতিকদের দেশটি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর বেইজিং সরকার আর কখনোই তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি।

XS
SM
MD
LG