অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতকে সহায়তা দানের আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের


করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতকে সহায়তা দানের আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতকে সহায়তা দানের আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের

প্রাথমিক নৈঃশব্দ্য কাটিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ভারতকে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে মদত দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় শনিবারে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা একযোগে ভারতকে সহায়তা দানের এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

প্রাথমিক নৈঃশব্দ্য কাটিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ভারতকে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে মদত দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় শনিবারে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা একযোগে ভারতকে সহায়তা দানের এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জেন সাকি
জেন সাকি

প্রথমে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি রয়টার্সের একটি ইমেলের উত্তরে লেখেন, "আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। যে কোনও দরকারে আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত।"

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

এর পরেই বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি ট্যুইট বার্তায় বলেন, "ভারতে দ্বিতীয় দফার এই করোনা ঝড়ে যে ভাবে অজস্র প্রাণহানি হয়ে চলেছে তাতে আমাদের হৃদয় বেদনা মথিত। ভারতের জনগণ ও তার স্বাস্থ্যকর্মীরা অকুতোভয় যোদ্ধা। করোনা অতিমারীর সঙ্গে তাঁদের এই লড়াইয়ে আমরা পাশে আছি।"

জেক সালিভান
জেক সালিভান

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেন, "ভারতের কী কী ক্ষেত্রে কী কী জিনিসের প্রয়োজন, আমরা জানতে চেয়েছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেগুলো সরবরাহের ব্যবস্থা করছি।"

উল্লেখ করা যেতে পারে, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'সিরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া'র কর্ণধার আদার পুনেওয়ালা একটি খোলা ট্যুইটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তিনি যেন প্রতিষেধক তৈরীর কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। তা হলে প্রতিষেধক তৈরি আরও সহজ হবে এবং অতিমারীজনিত এই বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াইয়ে অন্তত প্রতিষেধক পাওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।

হেরিটেজ ফাউন্ডেশন
হেরিটেজ ফাউন্ডেশন

যুক্তরাষ্ট্রের নামী থিংক ট্যাংক 'হেরিটেজ ফাউন্ডেশন'-এর গবেষক জেফ স্মিথ এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছর এই সময় নিউ ইয়র্ক থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহর যখন করোনা বিধ্বস্ত, তখন ভারত সরকার নিজের দেশে আপত্তি সত্ত্বেও অত্যাবশ্যক ওষুধ 'হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন' রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল।

ইদানিংকালে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কারও কাছ থেকেই এ ব্যাপারে কোনও কিছু শোনা যাচ্ছিল না বলে ভারতে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছিল।

সরাসরি লিংক



XS
SM
MD
LG