ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাস্ট্রের পররাস্ট্র মন্ত্রী জন কেরী শনিবার দক্ষিন এশিয়া সফরে যাচ্ছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদী কর্তৃক উদ্বোধন করা বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেবেন জন কেরী এবং যুক্তরাস্ট্রের ব্যাবসায়ী নের্তৃবৃন্দ। ভয়েস অব আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রনায়ল বিষয়ক সংবাদদাতা পাম ডকিনসের তথ্য নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রতন খাশনোবিশের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট করছেন সেলিম হোসেন।
গত সেপ্টেম্বরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদী ওয়াশিংটন সফরে এসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর ভারত সফরের কথাও ঠিক হয়।
অধ্যাপক রতন খাশনোবিশ যুক্তরাস্ট্র ভারত বানিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কি সে বিষয়ে আলোকপাত করলেন। ভারত ও যুক্তরাস্ট্রে বানিজ্য সম্পর্ক বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের ওপর কি প্রভাব ফেলতে পারে তাও বললেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন প্সাকি বললেন এ মাসের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের কর্মসূচী ঠিক করবেন জন কেরী ভারত সফরের সময়।
“অবশ্যই, তারা প্রেসিডেন্টের সফরের কর্মসূচী নিয়ে কথা বলবেন; আলোচনা করবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক, কৌশলগত সম্পর্ক; জ্বালানীসহ বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে”।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদী অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলে আসছেন। ফলে তার কাছে মানুষের অনেক উচ্চাশা; বিশেষ করে এই বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে, বললেন এ বিষয়ে দক্ষিন এশিয়ার বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান।
“দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার করার সংকল্প নিয়ে তিনি বিশাল জয় পেয়েছেন। মানুষের প্রত্যাশা পূরনের ব্যাপারে তার জন্যে এটি ভীষন ঝুকিপূর্ন”।
কুগেলম্যান বললেন প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাস্ট্রের কর্মকর্তাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে অতীতে দেশটিতে ব্যবসা বানিজ্য সংক্রান্ত যেসব সমস্যা ছিল ভারত সে সমস্যাগুলোর অন্তত কিছু কিছুর সনমাধান করছে।
তবে দক্ষিন এশিয়া কেন্দ্র উপ পরিচালক ভরত গোপালাস্বোয়ামি বললেন, আমলতান্ত্রিক জটিলতা, স্বত্ব সংরক্ষনের নিরাপত্তার অভাবসহ অতীতের ব্যাবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা ও সমস্যা স্বত্বেও যুক্তরাস্ট্র-ভারত বানিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে;
“আমি মনে করি প্রতিরক্ষা একটা বড় খাত। এটি সবচেয়ে বিতর্কিত খাত তবে সর্ববৃহৎ খাতও বটে। শিক্ষা একটি বড় খাত যেখানে স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। রয়েছে প্রচুর গবেষণার সুযোগ। এ মাত্র কয়েকটি প্রধান খাতের কথা বললাম”।
ভরত গোপলাস্বোয়ামী বললেন যুক্তরাস্ট্র ও ভারতের মধ্যে বানিজ্য সম্পর্ক এখনো শুরু পর্যায়ে যা বিকশিত হবার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।