অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশগুলি এখন পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের আওতায় রয়েছে


দুই ওয়ার্ড নেতা রাতে দা নাংয়ের একটি রাস্তা পর্যবেক্ষণ করেন।জুন ২০২১।
দুই ওয়ার্ড নেতা রাতে দা নাংয়ের একটি রাস্তা পর্যবেক্ষণ করেন।জুন ২০২১।

ভিয়েতনামে গত দুই মাসে কোভিড-১৯ এর ডেলটা প্রকরণ বৃদ্ধি পাবার কারণে দেশটি্র মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশগুলি এখন পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের আওতায় রয়েছে।

জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের মতে, মঙ্গলবার পর্যন্ত, দেশটিতে ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৫ শ’ ৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে মারা গেছে ১৫ হাজার ৬’শ ৬০জন।

বিদেশী এবং স্থানীয়রা উভয়েই অভিযোগ করে আসছে যে সেখানে "শিপার" নামে পরিচিত মোটরবাইকের মাধ্যমে সরবরাহকারীদের বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে, খাদ্য ও পানির সরবরাহে অব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা তিন দিন আগে করা হয় যার ফলে সেখানকার মানুষ স্থানীয় বাজার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করা শুরু করেন।

২২শে জুলাই সরকার উপকূলীয় শহর দা নাং-এর জন্য “আদেশ ১৬” অর্থাৎ ঘরে থাকার সরকারি আদেশ জারি করে। নতুন এই আদেশের কারণে বাসিন্দারা ঘোর থেকে বাইরে বেরোতে পারেননি। অত্যাবশকীয় নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। খাবার সরবরাহ বন্ধ ছিল এবং লিখিত সরকারি অনুমতি ছাড়া বাসিন্দাদের দা নাং থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

ওয়ার্ড নেতাদের বিভিন্ন পাড়ায় মোতায়েন করা হয়, কারফিউ জারি করা হয় এবং বাসিন্দাদের খাদ্য ও পানি সরবরাহের জন্য ফর্ম দেয়া হয়।বাসিন্দারা যদি গ্রীন জোনে থেকে থাকেন তাহলে বাড়ির কাছাকাছি কোন স্থানে যাবার জন্য দুই ঘণ্টার অনুমতি দেয়া হয়।কোন কোন ওয়ার্ড নেতারা বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেন যার মধ্যে রয়েছে রকমারি সবজি এবং নুডলস।

সুপার মার্কেটগুলির তাকগুলো ছিল খালি। চীনের উহানের মত- লকডাউন নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়। প্রবাসী এবং স্থানীয়রা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এবং অনলাইনে ফোরামে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছে।

একজন ব্রিটিশ নাগরিক, যার নাম গোপনীয়তার জন্য পরিবর্তন করা হয়েছে ব্রায়ান এডওয়ার্ডস বলেন, " সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি যদি এমন খারাপ হয়ে যায় তবে খাদ্য সরবরাহ করার কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা কেন করা হয়নি। এই কারণে আমি সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ। " বিদ্যমান শ্বাসকষ্টের কারণে এডওয়ার্ডস জনাকীর্ণ স্থান যেমন সুপার মার্কেটে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন এবং খাবারের জন্য তাকে স্থানীয় খাদ্য সরবরাহকারীদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

আগস্ট মাসে দা নাং সংক্রমণের হারের তথ্যের ভিত্তিতে আশেপাশের এলাকা রঙ এর কোড দিয়ে পৃথক করে অনলাইনে সেই মানচিত্র প্রকাশ করে। সবগুলো ওয়ার্ড প্রতি তিন দিনে কোভিড-১৯’এর গণ-পরীক্ষা করে যেখানে সামাজিক দূরত্ব সম্ভব ছিল না। মানুষ এই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার আয়োজন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কেননা তারা মনে করেন ঐ ভিড়ের কারণে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

কিছুদিন আগে পর্যন্ত, ভিয়েতনাম কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু টিকা প্রদানের ধীর গতির ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। বলা হচ্ছে ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ টিকা না কিনে বরং দান করা টিকার ওপর খুব বেশি নির্ভর করছিল।

XS
SM
MD
LG