হোয়াইট হাউজ বৃহস্পতিবার বলেছে যে ওয়াশিংটন আগ্রহের সঙ্গে মস্কোর প্রতি দৃষ্টি রাখছে এবং আসন্ন উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় কুটনীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । রাশিয়ার নেতার ক্রমাগত উত্তপ্ত বাগাড়ম্বরের মধ্যেই হোয়াইট হাউজ থেকে এ কথা বলা হলো। রাশিয়ার নেতা তার দেশের সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে যখন সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধি করেই চলেছেন তখনও বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর দেশকে খাটো করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো মিত্রদের দোষারোপ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার তার বছরের শেষ দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আপনারা নেটোকে পূর্ব দিকে সম্প্রসারিত করেছেন। তিনি পশ্চিমের গোয়েন্দা বিভাগকেও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠিগুলোকে ব্যবহার করে রুশ ফেডারেশনে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা করার জন্য দোষারোপ করেন ।
পুতিনের এই দোষারোপ সম্পর্কে সংবাদদাতাদের এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, “ বাস্তবটা হলো মজার ব্যাপার। বাস্তবে এটা পরিস্কার যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তে এক মাত্র যে আগ্রাসন আমরা দেখছি তা হচ্ছে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধি এবং রাশিয়ার নেতার যুদ্ধংদেহী বাগাড়ম্বর”।
সাকি বলেন জানুয়ারির প্রথম দিকেই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করবে তবে আলোচনাটি ঠিক কবে, কোথায় হবে এবং এতে কারা সম্পৃক্ত থাকবেন সে সব বিষয়েও তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মস্কোর এই দাবি যে নেটো ইউক্রেনের সদস্যতা নাকচ করে দিক এবং এই নিরাপত্তা জোট মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে তার বাহিনী মোতায়েন হ্রাস করুক, সে সব সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোন জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান।
একজন উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সংবাদদাতাদের বলেন , “রাশিয়া যদিও বিষয়গুলো বলে যাচ্ছে , আমরা প্রকাশ্যে কোন আলোচনার পরিকল্পনা করছি না । এটি আমাদের কাছে গঠনমূলক বলে মনে হচ্ছে না। অতীতেও এ ভাবে কুটনৈতিক আলাপ আলোচনায় অগ্রগতি হয়নি। আমরা সব প্রস্তাব কিংবা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মন্তব্যসহ সব কিছুর ব্যাপারে মন্তব্য করতে যাচ্ছি না।
এ মাসের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনা করেন। সেই আলোচনায় এরা দু জন ইউক্রেনের সঙ্গে রুশ সীমান্তে যে প্রায় এক লক্ষ সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হয়েছে সে নিয়েও কথা বার্তা বলেন।