অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খুলনায় মন্দির হামলার ঘটনায় ১১জন গ্রেপ্তার


খুলনায় মন্দিরে হামলার অভিযোগ
খুলনায় মন্দিরে হামলার অভিযোগ

খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালি গ্রামে একাধিক মন্দির এবং স্থানীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও দোকানে হামলার ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। 

খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালি গ্রামে একাধিক মন্দির এবং স্থানীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও দোকানে হামলার ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় এমপি আবদুস সালাম মুর্শেদী ও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা।

শনিবার বিকালে শিয়ালি গ্রামে এই হামলা হলেও স্থানীয়দের দাবি শুক্রবার ঘটনার সূত্রপাত।

হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। এক বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণসম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

হামলার ঘটনায় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ মন্ডল বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড়শতাধিক মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তারকরা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মসজিদে নামাজ চলার সময় হিন্দু সম্প্রদায়েরসদস্যরা ‘গান-বাজনা’ করছিলেন, এ অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয় যেটাকে তারা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে বর্ণনা করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ওই দ্বন্দ্বের সমাধান সেদিনই হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবারের ঘটনার পরপরই প্রশাসন ও পুলিশেরকর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে কেন হামলা হয়েছে তা তার বোধগম্য নয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, দুর্বৃত্তরা কমপক্ষে চারটি মন্দির, দোকানপাট এবং বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।

রূপসা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন জানিয়েছেন, চারটি মন্দিরের কমপক্ষে ১০টি মূর্তিভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার পর এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

XS
SM
MD
LG