এখন আর আশঙ্কা নয়। বিশেষজ্ঞদের মতামতও নয়। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেই জানালেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ঢেউই শেষ হয়নি। দ্বিতীয় ঢেউতো পরে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যবিভাগ এই মহামারি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। বুধবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরের বাইরে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। একধরনের উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, শীতকালে বিয়ে ও পিকনিকসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে জনসমাগম বেশি হওয়ায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে বিরত থাকতে হবে।
দ্বিতীয় ঢেউ কিভাবে মোকাবিলা করা হবে, তার কর্মকৌশল ঠিক করতে মঙ্গলবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বলা হয়, শীতকালে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এলে অর্থনীতিকে সচল রেখে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোকে এই পরিকল্পনা তৈরির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ হাজার ৪৪ জনে। এ সময় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৬৬ জন। সবমিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন তিনলাখ ৫৩ হাজার ৮৪৪ জন। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী