সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত সরকারের জন্য একটি নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সেই আলোচনা ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
নয় মাসের বিরতির পর, জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারী এই সপ্তাহের শুরুতে বিলম্বিত আলোচনা পুনরায় শুরু করেনএই আশা নিয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক খসড়া প্রক্রিয়া নিয়ে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা কেটে যাবে।
সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত গিইর পেডারসন বলেন যে তিনি সাংবিধানিক খসড়া পাঠ নিয়ে সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধী প্রতিনিধি দলের সহ-সভাপতিদের সঙ্গে বাস্তবোচিত এবং খোলামেলা আলোচনা করেছেন। আলোচনার মধ্যে সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সশস্ত্র বাহিনী, সন্ত্রাসবাদ এবং আইনের শাসন এই বিষয়গুলো ছিল।
তিনি স্বীকার করেন যে প্রথম চার দিনের আলোচনায় অনেক উত্থান-পতন ছিল। তিনি বলেন, প্রতিনিধিরা আলোচনার শেষ দিন শুক্রবার, সম্মত হয়েছেন যে তারা যে নীতিগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তা এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। তবে পেডারসন বলেন, এটি "একটি বড় রকমের হতাশাব্যঞ্জক বিষয়”।
সিরিয়া সরকারের সাংবিধানিক কমিটির সহ-সভাপতি আহমদ কুজবারি বলেন, তার প্রতিনিধি দল সৎ বিশ্বাসে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন।
কুজবারি উল্লেখ করেন, "আমরা কিছু অংশগ্রহণকারীর সব প্রস্তাব শুনেছি, দুর্ভাগ্যবশত, যার মধ্যে কিছু প্রস্তাব বাস্তবতা থেকে দূরে ছিল এবং এমনকি তাতে ক্ষতিকর চিন্তাভাবনা এবং আক্রমণাত্মক বিষয়বস্তুর প্রতিফলন ছিল।"