অভিবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ নানাবিধ সংকটের মুখোমুখি

অভিবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ নানাবিধ সংকটের মুখোমুখি। একদিকে ১৯৭৮ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত বর্মী রোহিঙ্গারা দেশত্যাগে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন-যার সংখ্যা সরকারী হিসেবে কয়েক হাজার হলেও বাস্তবে ৪ থেকে ৫ লাখ হবে। সম্প্রতি এসেছেন কমপক্ষে ২১ হাজার। এছাড়া এখনো বাংলাদেশে তাদের প্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে, অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশের নাগরিকরাই দেশী তৈরি নৌকায় করে বিপদসংকুল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মৃত্যুর মুখে পড়েছেন; যাদের ভাগ্য সহায় তারা আবার ফেরতও এসেছেন। প্রায় একই অবস্থা ভূ-মধ্যসাগরীয় এলাকায়। সেখানেও নানাভাবে মারা গেছেন অনেক বাংলাদেশী; একই অবস্থা এখনো সেখানে চলছে। আবার যারা বৈধ কিংবা অবৈধ পথে বিদেশ গেছেন তারাও এক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২০০৫ থেকে ২০১৬’র নভেম্বর পর্যন্ত ২৯৭৫৬ জন বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক বিদেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া দিনে দিনে সংকোচিত হচ্ছে বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি বাজার; সাথে সাথে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সে।বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক চাপও রয়েছে, সাথে সাথে জঙ্গীবাদের বিস্তারের আশংকাও করছেন তারা। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমএ’র প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং বর্তমানে অভিবাসন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন।এদিকে, বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি বাজার সংকোচিত হওয়া এবং রেমিট্যান্সের উপর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্লেষন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র রামরু’র সমন্নয়কারী ড. আবরার চৌধুরী।দুইজন বিশেষজ্ঞই অভিবাসন বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিকতা জরুরি বলে মনে করেন।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট