২০১৬ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের আইন সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ

২০১৬ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতো আইন সালিশ কেন্দ্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০১৬ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রভাবশালী ওই মানবাধিকার সংগঠন আইন সালিশ কেন্দ্র বলছে, অব্যাহত প্রতিবাদ সত্ত্বেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক অপহরণ, গুম, গুপ্ত হত্যা, ক্রসফায়ার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডে বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালেও এসব অব্যাহত ছিল। বছর জুড়ে উগ্র জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা এবং নাশকতামূলক কর্মকান্ডও ছিল উদ্বেগের বিষয়। ২০১৬ সালে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, নির্যাতন হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। এ সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ১৯২ এবং ২০১৪ সালে ছিল ১২৮ জন। আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনীর নামে গুম, খুনের শিকার হয়েছেন ৯৭ জন। আর এ সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ৫৫ জন। এ বছরে গণপিুটনিতে নিহত হয়েছেন ৫১ জন। ২০১৬ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৭৭ জন-যা ২০১৫ সালে ছিল ১৫৩ জন। আইন সালিশ কেন্দ্রের ২০১৬-র মানবাধিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছরটি ধর্মীয় সংখ্যাদের উপর নির্যাতন হত্যার ঘটনা বেড়েছে। বেড়েছে যৌন নির্যাতন, হয়রানি, ধর্ষণ এই সম্পর্কিত হত্যাকান্ডের ঘটনা। শিশূু নির্যাতন বৃদ্ধিতেও সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আইন সালিশ কেন্দ্র বলছে, সরকারের বিভিন্ন দমন মূলক পদক্ষেপ কিংবা উগ্র ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অপতৎপরতায় অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত হয়েছে মত প্রকাশের অধিকার এবং বাক-স্বাধীনতা।২০১৬ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতির এহেন অবস্থায় ২০১৭ সালে মানাবাধিকার পরিস্থিতি কেমন হতে পারে-সে সম্পর্কে বিশ্লেষন করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও বিশ্লেষক ড. শাহদীন মালিক।ড. শাহদীন মালিক মনে করেন, ২০১৬ সালে অবস্থা যদি বিদ্যমান থাকে, তাহলে ২০১৭ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও আশাবাদী হওয়ার কোনোই কারণ নেই।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট