কানপুর-ইন্দোর পাটনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-যোগের হদিশ মিলেছে ,

কলকাতা তথা রাজ্যের এক বেসরকারী টেলিভিলনে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে গত বছরের বিশে নভেম্বর কানপুর -ইন্দোর পটনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় প্রায় একশো জনের মৃত্যু ঘটে,এই ঘটনায় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-যোগের হদিশ মিলেছে , বিহার পুলিশের হাতে তিন সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হওয়ায় বিহার পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, তারা পাক গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজ করে। ভারতীয় রেলই তাদের নিশানা। গতকালই তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। বিহারের আদাপুর থেকে ধৃত তিনজন মতি পাসোয়ান, উমাশঙ্কর পটেল ও মুকেশ যাদব দাগী দুষ্কৃতী। জেরায় তারা জানিয়েছে, ব্রজেশ গিরি নামে নেপালের এক বাসিন্দা তাদের নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন পূর্ব চম্পারণে ঘোরাসাহানে বিস্ফোরণে রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই চেষ্টা অবশ্য ব্যর্থ হয়। নেপালি নাগরিক ব্রজেশের সঙ্গে আইএসআই-এর সরাসরি যোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি।উল্লেখ করা যেতে পারে গত আঠাশে ডিসেম্বর কানপুরের সত্তর কিমি দূরে রুরার কাছে আজমের-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের চোদ্দোটি কোচ লাইনচ্যূত হয়। এই দুর্ঘটনায় কারুর মৃত্য না হলেও চুয়াল্লিশ জন যাত্রী জখম হন।এর ঠিক আগেই গত বিশে নভেম্বর ইন্দওর-পটনা এক্সপ্রেস কানপুরের কাছেই লাইনচ্যূত হয়।এই ঘটনায় একশো জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়। গত পয়লা অক্টোবর ঘোরাসাহানে রেললাইনে শক্তিশালী আইইডি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সেটি নিষ্ক্রিয় করে, ঘোরাসাহানের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা ঘোরাসাহানের ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব চম্পারনের পুলিশ সুপার জীতেন্দ্র রানা। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ভিন দেশের লোকেদের নির্দেশে কাজ করছিল। তারা আইএসআই-এর সঙ্গে তাদের যোগ থাকার কথাও কবুল করেছে।ধৃতদের মধ্যে মোতি পাসোয়ান কানপুর রেল দুর্ঘটনায় পাক গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের কথা স্বীকার করেছে। মোতি জানিয়েছে, সে ও অন্যান্য কয়েকজন কানপুরে রেল দুর্ঘটনা ঘটায়।মোতির দুই শাগরেদ জুবের ও জিয়াতুল্লাকে ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Your browser doesn’t support HTML5

কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষরায়ের রিপোর্ট