গভীর শ্রদ্ধায় পালিত হল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবশ। প্রতিবারের মতো এবারও সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের কiমশুছি। প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিহগলের বেজে ওঠে করুন সুর। এরপর সংসদের স্পিকার, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সচিবগণ, তিন বাহিনী প্রধানগন, মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, কূটনৈতিকগণ, ও উচ্চপদস্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা বৃন্দ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৭ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্রদ্ধানিবেদন করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি মাথা চারা দিয়ে উঠছে।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধ জন সমুদ্রে পরিনত হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ বলেন, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে মকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত করাই তাঁদের লক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিকি বলেন, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে পৃথিবীতে বসবাস করছি। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক থাকলেই দেশ এগিয়ে যাবে।স্মৃতি সৌধে আগতদের কণ্ঠে দেশ গড়ার দৃপ্ত শ্লোগান আর গায়ে লাল সবুজের পোশাক যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। দেশ বিদেশের নানান ভাষার মানুষও আসেন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।স্বাধীনতার এই দিনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে। পুরো স্টেডিয়াম সাজানো হয় অপুরুপ সাজে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তলন ও পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শিশু সমাবেশ উদ্ভোধন করেন। এ সময় শেখ হাসিনা, শিশুদের যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

স্বাধীনতা দিবসে নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা বলেন, সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ আমরা গরব।

এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন এই দিনটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করেছে। আজ র ছেলে মেয়ে কোন ভেদা ভেদ নেই। তাই মেয়েরাও এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। এই প্রজন্মের ছেলেরা গড়তে চায় সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ।

স্বাধীনতা ওঁ সার্বভৌমত্তের প্রশ্নে সকল অসুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ নয়, এই অসুভ শক্তিকে করতে হবে বিতারিত। আর সেই প্রত্যয় নেবার আজই শ্রেষ্ঠ সময়। এবারে স্বাধীনতা দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে নাসরিন হুদা বিথীর রিপোর্ট