জার্মান চান্সেলার এ্যাঙ্গেলা মার্কেল সিসিলীর সদ্য সমাপ্ত সাত জাতি গোষ্ঠী জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠক এবং প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু পরিবর্তন কেন্দ্রীক অবস্থান প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন তার ভিত্তিতে ভয়েস অফ এ্যামেরিকার রিপোর্ট পড়ছেন সরকার কবীরুদ্দীন।
জার্মান চান্সেলার এ্যাঙ্গেলা মার্কেল এখনো সেই আগের মতোই,মজবুত-সূসংবদ্ধ-নির্ভরযোগ্য আন্ত:অতলান্তিক জোটবদ্ধতার ব্যাপারেই দায়বদ্ধ রয়েছেন- বলছেন তাঁরই মূখপাত্র , বলছেন- যুক্তরাষ্ট্র এখন আর সেই আগের মতো নির্ভরযোগ্য জোট শরিক রইলো না বলেই ধারণা তাঁর।
মূখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট সোমবারের এক সংবাদ সম্মেলন চলাকালে বলেন- আন্ত:অতলান্তিক সম্পর্কের ব্যাপারটা চান্সেলার মার্কেলের কাছে অতীব গুরুত্বপুর্ণ বিধায়, তাঁর তরফে এহেন অকপট-দ্যর্থহিন মন্তব্য দৃষ্টিভঙ্গির এই মোড়বদল নিয়ে যথার্থই অর্থপুর্ন।
মার্কেল বলেছেন- সেই আগের মতোন,অপরের ওপর পুরোপুরি নির্ভর রইবার দিনগুলো এখন অতীতের গহ্বরে বিলীন হয়েছে – গত কয়েক দিনে এমোনটাই অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার—বললেন চান্সেলার এ্যাঙ্গেলা মার্কল, বাভেরিয়ায় এক নির্বাচনী ভাষন দানকালে ।
সিসিলির জি-সেভেন বৈঠক চলাকালে অপরাপর য়ুরোপিয় নেতৃবৃন্দের মতো মার্কেলও কড়া বিরুপ সমালোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের যখন কিনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জলবায়ু-পরিবর্তন প্রতিরোধের প্যারিস চুক্তি সমর্থনে অনীহা প্রকাশের অবস্থান গ্রহন করেন। বৈঠক সমাপনী ইশতেহারে সাত জাতি গোষ্ঠী জি-সেভেন অন্তর্গত সকল দেশই জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও যুক্তরাষ্ট্র তা করেনি। মার্কেল বলেন-এ জলবায়ূ পরিবর্তন প্রতিরোধ এতোই গুরুত্বপুর্ণ যে এর ব্যাপারে কোনোরকন আপোষরফার কোনো অবকাশই নেই।
যুক্তরাষ্ট্র এবং সেই সঙ্গে য়ুরোপিয় য়ূনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে উদ্যত বৃটেনের সঙ্গে সূ-সম্পর্ক রক্ষায় জার্মানী এবং সেই সঙ্গে বাদবাকি য়ুরোপের সকলেরই জোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে- একথা স্বীকার করেও মার্কেল বলেন- য়ুরোপিয় হিসেবে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণকল্পে- নিজেদেরকেই আমাদের উদ্যোগ-প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে, কথাটা আমাদের অনুধাবন করতে হবে, মনে রাখতে হবে।
Your browser doesn’t support HTML5
ট্রাম্পের জলবায়ু পরিবর্তন কেন্দ্রীক অবস্থান