কলকাতা মহানগরীর শিক্ষাঙ্গণের অন্যতম অঞ্চল কলেজ স্কোয়ার। কলকাতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেরও অন্যতম পীঠস্থান বলা চলে। বামপন্থী, ডানপন্থী কিম্বা গেরুয়া শিবির।রাজনৈতিক ভাবে যে কোনো ইস্যু কে সামনে রেখে আওয়াজ তোলার জন্য সব পক্ষই বারবার বেছে নেয় ঐতিহ্যশালী কলেজ স্কোয়ারকে! উল্লেখ করা যেতে পারে এখানেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। রয়েছে হিন্দু ও হেয়ার স্কুলের মতো একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার সেই কলেজ স্কোয়ারেই স্থায়ী ভাবে মিটিং-মিছিল বন্ধ হতে চলেছে! কারণ বলতে জানা যাচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক ছাত্রের আবেদন। রাজ্যের হুগলি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ছাত্রদের আর্জি শোনামাত্রই এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, ছাত্রস্বার্থে কলেজ স্কোয়ারে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সরকার আইন আনবে। তবে ঘোষণা করেই এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রশ্নে সর্বসম্মতি গড়ে তুলতে, নিজের দল দিয়েই শুরু কাজ শুরু করেছেন তিনি।যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তে, গণতন্ত্রের ‘কণ্ঠরোধ’ করা দেখছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেছেন, শুধু কলেজ স্কোয়ার কেন, সব জায়গাই বন্ধ করে দিক সরকার। কলেজ স্কোয়ারে মিটিং-মিছিল বন্ধ করা নিয়ে চড়া সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসে শিবিরও। সিপিএমও কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছে সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানবে না তারা।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ। গতকালই রাজ্যপুলিশ প্রশাসনের সদর দপ্তর লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে আগামী সোমবার অর্থাৎ পাঁচই জুন থেকে কলেজ স্কোয়ার ও সংলগ্ন এলাকায় কোনও শোভাযাত্রা, মিছিল, সভা কিংবা বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যাবে না। তবে কোনও দল বা সংগঠন যদি ইতিমধ্যে অনুমতি নিয়ে থাকে, তাহলে তা করা যাবে। যেমন আজ শুক্রবার সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর ওয়াই চ্যানেল থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত মিছিল করার কথা রয়েছে। সেই মিছিল হবে। কিন্তু নতুন করে কোনও আবেদন গ্রাহ্য হবে না।
Your browser doesn’t support HTML5
কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষরায়ের রিপোর্ট