নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বলেছে এইচআরডব্লিউ

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নিরাপত্তা রক্ষাকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে আটক ব্যক্তিরা কোথায় আছেন তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে আটক ব্যক্তিদেরও মুক্তি দাবি করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা এক চিঠিতে সংস্থাটি বলেছে, ২০১৭ সালে কমপক্ষে ৮০ জনকে গোপনে আটক রাখা, জোরপূর্বক গুম করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। ১৭ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সংস্থাটির এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, বাংলাদেশে গোপনে আটক রাখা ও গুম করা রীতিমতো আতঙ্কের। বাংলাদেশীরা মনে করেন, যে কোন রকম সমালোচনা ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে প্রশাসনের লোকদের নজরে পড়তে পারেন তারা। এডামস আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতার তৃতীয় মেয়াদের শেষ প্রান্তের কাছাকাছি। যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জন নিখোঁজের বিষয়ে জবাব খুঁজছেন তাদের সহায়তা করা উচিত। ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করার ওপরও জোর দিয়েছে সংস্থাটি। সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর বিমানবন্দর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার ভাই রিফাত হাসান জানান, নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করে, যেসব মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন তার মধ্যে অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন রাজনৈতিক কারণে। সরকার অনেকবারই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিলেও দু-একটি ঘটনা ছাড়া নতুন নতুন নিখোঁজ বা গুমের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, গুম নিয়ে তদন্তের সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করে বলেছেন, এসবের সঙ্গে জড়িত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট

Your browser doesn’t support HTML5

নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বলেছে এইচআরডব্লিউ