ভারতে নির্বাচনের প্রার্থী হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আয়ের উৎস জানাতে হবে

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় নির্বাচনের প্রার্থী হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজের, স্ত্রী বা স্বামীর এবং তাঁর উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আয়ের উৎস ও সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এই যুগান্তকারী নির্দেশ দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, সুস্থ গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে নির্বাচনী ব্যবস্থার বিশুদ্ধতা জরুরি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, তাঁদের স্ত্রী বা স্বামী এবং তাঁদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পত্তির বিষয়ে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অসঙ্গতি থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বিধায়ক বা সাংসদ আর পদে থাকতে পারবেন কি না, সেই বিষয়টি বিবেচনার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চ বলেছে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিধিত্ব আইন অনুসারে, কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি নিজের ও স্ত্রী বা স্বামী এবং নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পত্তি ও আয়ের উৎস গোপন করেন, তাহলে সেটা দুর্নীতি বলেই গণ্য হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও তাঁর সহযোগীদের অন্যায্য সম্পত্তি যে কোনও সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজের নাগরিক ও ভোটারদের সজাগ করে দেবে। কারণ, নির্বাচনে প্রার্থীদের বিষয়ে সব তথ্য পাওয়া ভোটারদের মৌলিক অধিকার। প্রসংগত বলা যেতে পারে লোক প্রহরী নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তির উপর নজরদারি এবং অন্যায় দেখলে তাঁদের পদ খারিজ করে দেওয়ার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

Your browser doesn’t support HTML5

ভারতে নির্বাচনের প্রার্থী হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আয়ের উৎস জানাতে হবে