জাতিসংঘ আজ মঙ্গলবার বলেছে- সিরিয়ায়, বিদ্রোহি দখলিত পূর্বাঞ্চলবর্তী গৌতা এলাকায়, লড়াই লাগাতার অব্যাহত রয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন- অথচ, অসামরিক মানুষজন যাতে লড়াইয়ের হাত থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে অন্যত্র হঠে যেতে পারেন সে লক্ষেই দৈনিক ঐ মানবিক বিরতির কথা ছিলো এবং তারই প্রথম দিনটিতে এটা ঘটলো।
স্পষ্টত:ই পরিস্থিতি সেখানকার এমোন নয় যে, যানবহর ওখানে যেতে পারে বা চিকিৎসার্থে স্থানান্তরনের জন্যে কেউ বাইরে যেতে পারবে। বললেন, জাতিসংঘের মানবিক বিভাগীয় মূখপাত্র জেন্স লার্কে। স্থানান্তরনের একটি পথ এবং সেইসঙ্গে দামেস্ক সন্নিকটবর্তী এলাকাগুলোয় গোলার আঘাতের ব্যাপারে রাশিয়া ও সিরিয়া, বিরোধী পক্ষিয় লড়াকুদেরকে দোষারোপ করেছে – যে দোষারোপের দায় বিদ্রোহিরা অস্বীকার করেছে।
বৃটেন ভিত্তিক Syrian Observatory for Human Rights সাত বছর যাবত চলমান এ লড়াই পর্যবেক্ষন করে আসছে, তারা বলছে- পূর্বাঞ্চলবর্তী গৌতায়, বিমান হামলার আঘাত লেগেছে। ওখানটায়, সাম্প্রতিক বর্ধমান সহিংসতায় শত শত লোকের প্রাণ বিনাশ ঘটেছে।
সিরিয় সামরিক বাহিনী এধরনের কোনো আক্রমন অভিযান পরিচালনার কথা অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তামাম সিরিয়া এলাকায় ৩০ দিনের অস্ত্র বিরতির নির্দেশ দিয়েছে। এ পরিকল্পনা নড়বড়ে অবস্থায় চালু হয় এবং দামেস্কের যে বিদ্রোহি নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলবর্তী গৌতা অঞ্চলে সোমবার ৩০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়, সেখানে বিমান হামলা ও লড়াই অব্যাহত রয়েছে ব’লে মতাদর্শী সংগ্রামীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।
সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরঁ টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়াঁকে বলেন- পূর্বাঞ্চলবর্তী গৌতায় অসামরিক লোকজন ও হাসপাতালগুলো নিশানা করে যে বিমান হামলা চলছে তাতে তিনি যারপর নাই চিন্তান্বিত।