যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার রাতে তার রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি সংক্রান্ত ভাষণে ঘোষণা করেন যে, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে কখন পুনরায় আলোচনায় মিলিত হবেন।
এ সম্পর্কে আমাদের সংবাদদাতা স্টিভ মিলারের রিপোর্ট শোনাচ্ছেন আহসানুল হক।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি সংক্রান্ত ভাষণে বলেন: ‘এখনও অনেক কিছু করার বাকী রয়েছে, তবে কিম জং উনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। চেয়ারম্যান কিম এবং আমি আবার ফেব্রুয়ারী মাসের ২৭ ও ২৮ তারিখে ভিয়েতনামে সাক্ষাত করবো।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কিম ইউই কিইউম বলেছেন – সোল আশা করে যে, ওই বৈঠকে দুই দেশ অগ্রগতি সাধন করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের জন্য ভিয়েতনাম হচ্ছে সর্বোত্তম স্থান।’
টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সুং ইউন লী স্কাইপের মাধ্যমে ভিওএ-কে বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন সাইগনের পতন হয়, কিম ইল সুং তখন বেজিং সফর করেন এবং মাও সে তুং ও শীর্ষ নেতাদের প্রতি দক্ষিণাঞ্চলে হ্যানয় যা করছিল, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সাহায্যের আহ্বান জানান। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রকে দক্ষিণাঞ্চল ত্যাগ করার জন্য একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য করা হয়েছিল, যার ফলে দক্ষিণকে ত্যাগ করে এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের পতন দেখতে বাধ্য হয়। সেটাই হচ্ছে কিম শাসকগোষ্ঠির জন্য ভিয়েতনামের আদলে এক আদর্শ নজীর।
জাতিসংঘ এক গোপন রিপোর্টে দাবী করেছে যে, কোন সামরিক হামলায় যাতে উত্তর করিয়ার পারমানবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের যোগ্যতা ধ্বংস না করা হয়, উত্তর কোরিয়া সেটা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই খবর প্রথমে রয়টার প্রকাশ করেছিল।
Your browser doesn’t support HTML5