হলি আর্টিজান ইতালীয় নাগরিকদের শ্রদ্ধা

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত কয়েকজন ইতালীয় নাগরিক। তারা নিহতদের স্মরণ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের। বললেন, বাংলাদেশের মানুষ সহজ-সরল।

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত কয়েকজন ইতালীয় নাগরিক। তারা নিহতদের স্মরণ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের। বললেন, বাংলাদেশের মানুষ সহজ-সরল। তারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না। ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে রয়েছেন রিকার্দো তোরানিশি। ছিন্নমূল মানুষদের নিয়ে কাজ করেন।

২০১৬ সালের ১লা জুলাইয়ের এই নৃশংস জঙ্গি হামলায় বিদেশীসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। বাংলাদেশের দু’জন পুলিশ অফিসারও নিহত হন। কমান্ডো হামলায় ৫ জন জঙ্গিও নিহত হয় এই ঘটনায়। এই হামলায় প্রাণ দেন ৯ জন ইতালীয় নাগরিক। আটমাস আগে এই হামলার বিচার শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭ কার্যদিবসে ৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। হামলায় ২৩ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আইএস-এর শীর্ষ দশ জনের মধ্যে ছিলেন সাইফুল ইসলাম সুজন। তদন্তে আভাষ মিলেছে, এই সুজনের নির্দেশে কানাডীয় নাগরিক তামিম চৌধুরী জঙ্গিদের সংগঠিত করেছিল।

২০১৫ সালের ১০ই ডিসেম্বর মার্কিন বিমান হামলায় সুজন নিহত হন। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, আইএস-এর দুটি ঘাটির পতন হওয়া মানে এই নয় জঙ্গি হামলামুক্ত হয়েছে বিশ্ব। বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। শ্রীলঙ্কায় হামলার পর চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। প্রায় ১শ জনেরও বেশি বাংলাদেশী ইরাক ও সিরিয়া গিয়েছিলেন। ৭১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশী। ৩৪ জন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বিদেশী নাগরিক। ১৯ জন মারা গেছে এমন খবর রয়েছে ঢাকায়। বাকিরা কোথায় আছে, কি করছে তা জানা যাচ্ছে না। পুলিশের মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারী বলেছেন, এখন জঙ্গিরা ইন্টারনেটে সক্রিয়। তাদের তৎপরতার ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, হলি আর্টিজান হামলার মতো আর কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে জন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

Your browser doesn’t support HTML5

হলি আর্টিজান ইতালীয় নাগরিকদের শ্রদ্ধা