ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে ৬ জন নিহত

বাংলাদেশের খুলনা ও সুন্দরবন দিয়ে প্রবেশ করা ঘূর্ণিঝড় ’বুলবুল’ শনিবার শেষ রাতে আঘাত হেনেছে এবং এতে খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, মাদারীপুর ও পটুয়াখালীতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জনের প্রাণহানী হয়েছে।

বাংলাদেশের খুলনা ও সুন্দরবন দিয়ে প্রবেশ করা ঘূর্ণিঝড় ’বুলবুল’ শনিবার শেষ রাতে আঘাত হেনেছে এবং এতে খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, মাদারীপুর ও পটুয়াখালীতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জনের প্রাণহানী হয়েছে।


সরকারি হিসেবে ৫ হাজার এবং বেসরকারি হিসেবে কমপক্ষে ১৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিনভর বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে গাছ-গাছালি উপড়ে পড়াসহ নানা ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও আসছে। বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। ওইসব এলাকায় স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বেশ দুর্বল হয়ে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহওয়া দপ্তর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। সেন্ট-মার্টিনে কয়েকশ’ পর্যটক আটকা পড়েছেন।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঝড় সিডর এবং পরবর্তীকালে ঝড় আইলা, ফনি ও সবশেষ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলসহ মাঝে-মধ্যে ঝড় এবং জ্বলোচ্ছাস বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালী জেলাকে বারবার বিপন্ন-বিপর্যস্ত করে ফেলছে। শুধুমাত্র ঝড় ও জ্বলোচ্ছাস সিডরের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল, বিভিন্ন গবেষণা তথ্য মোতাবেক -১৫২ কোটি ডলার। এছাড়া মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জীবন ও জীবিকার ওপরে আঘাত হেনেছে এসব ঝড়-জ্বলোচ্ছাস।

সিডর, আইলাসহ একের পর এক ঝড়-জ্বলোচ্ছাসে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় অঞ্চলের উপরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কি ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সে সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ এবং পরিবেশ সক্রিয়বাদী ড. আতিক রহমান এবং সাতক্ষীরার বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও স্বদেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক মাধব চন্দ্র দত্ত।

Your browser doesn’t support HTML5

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে ৬ জন নিহত