করোনার মধ্যেও নিয়মিত টিকাদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

FILE - A child reacts after receiving a measles-rubella vaccination.

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও গাভি (GAVI) ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জরিপ করা ৩৭ শতাংশ দেশের মধ্যে দেখা গেছে যে, ২০২০ সালের তুলনায় হামের মতো মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে শিশুদের টিকা প্রদান বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তাদের মতে এ বাধা শুরু হয়েছে কোভিড ১৯ মহামারী শুরু হবার পর থেকে।

তারা বলেছে যে ৬০ টি জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচী বর্তমানে ৫০ টি দেশে স্থগিত করা হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২৮ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই শিশু, তারা হাম, হলুদ জ্বর এবং পোলিওর ঝুঁকিতে রয়েছে।

পৃথিবীতে যখন বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২০২১ পালন করা হচ্ছে যা এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেই পালিত হয়, তাই এ সংগঠনগুলো দেশগুলিকে টিকাদান কর্মসূচিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

এ সংগঠনগুলোর মতে এই বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে পারবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম গ্যাব্রিয়েইসাস বলেন,

"আমরা যদি হাম, হলুদ জ্বর এবং ডিপথেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের একাধিক প্রাদুর্ভাব এড়াতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে নিয়মিত টিকা পরিষেবা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সুরক্ষিত রয়েছে।"

ঐ সংগঠনগুলো বলেছে, হামের প্রকোপের খবর পাওয়া গেছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান এবং ইয়েমেনে। তারা আরও জানিয়েছে যে শিশুদের টিকা না দেওয়ার কারণে আরও প্রকোপ বাড়তে পারে।