কেনিয়া-সোমালিয়া সীমান্তে রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ১৩ বাসযাত্রী নিহত

কেনিয়া-সোমালিয়া সীমান্তের কাছে মান্দেরা এলাকায় রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমা বিস্ফোরণের শিকার হওয়া বাসের একজন আহত যাত্রীকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানুয়ারি ৩১, ২০২২। (ছবি- রয়টার্স)

একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কেনিয়ার পুলিশ এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। সোমালিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব কেনিয়ায় একটি বাস রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণটির শিকার হয়। সেই ঘটনায় ১৩ জন যাত্রী নিহত ও অন্যান্যরা আহত হন।

কেনিয়ার উত্তর-পূর্ব মানদেরা কাউন্টির পুলিশ জানায় যে, সোমবার দিনের শুরুর দিকে ১৪ আসন বিশিষ্ট ঐ বাসটি মানদেরা শহরের দিকে যাওয়ার সময়, রাস্তায় পেতে রাখা বোমাটিকে আঘাত করে।

কেনিয়ার গণমাধ্যম প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানায় যে, বিস্ফোরণের পর সেখানে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

দি নেশন মিডিয়া গ্রুপ ঐ অঞ্চলের পুলিশ প্রধান বুনেই রোনো-কে উদ্ধৃত করে জানায় যে, তিনি বলেছেন বোমা বিস্ফোরণের সাথে যুক্ত একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

যদিও কোন গোষ্ঠীই তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবুও ইসলামী জঙ্গীগোষ্ঠী আল-শাবাব এর উপর সন্দেহ বর্তানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমালিয়ার এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি অতীতেও সীমান্ত অতিক্রম করে নিরাপত্তা বাহিনী ও গণপরিবহনকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছিল।

আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত এই গোষ্ঠীকে, উত্তর-পূর্ব ও উপকূলবর্তী অঞ্চলের বেশিরভাগ হামলার জন্য দায়ী করা হয়। তবে, বিশ্লেষকরা বলেন যে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু সহিংসতার ঘটনা স্থানীয় ও রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে হয়েছে।

সোমবার যেই রাস্তাটিতে হামলা হয়, সেই একই রাস্তায় ২০১৫ সালে আল-শাবাব একটি গাড়িবহরের উপর হামলা চালায়। গাড়িবহরটি মানদেরার গভর্নর আলী রোবাকে বহন করছিল। ঘটনাটিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহ তিনজন নিহত হয়েছিলেন।

কেনিয়ার পুলিশ জানিয়েছে যে নিকটবর্তী লামু কাউন্টিতে, বুধবার বিচারিক কর্মকর্তাদের বহনকারী কয়েকটি গাড়ির উপর গুলিবর্ষণ করেছে আল-শাবাবের জঙ্গীরা। সেই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।