ইউরোপে মহামারী শেষ হবার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রধান

৪ঠা নভেম্বর ২০২১: ইউরোপ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুজ কোপেনহেগেন থেকে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এপি ভিডিও থেকে স্ক্রীনশট নেয়া

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক বলেছেন, ইউরোপ মহাদেশে কভিড-১৯-এ সংক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে তবে তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপে মহামারী শেষ হবার একটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন।

কোপেনহেগেনে তার সদর দপ্তর থেকে সাপ্তাহিক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক হান্স ক্লুজ সাংবাদিকদের বলেন, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে গত এক সপ্তাহে ঐ অঞ্চলে ১ কোটি ২ লক্ষ সংক্রমণের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে যা সাপ্তাহিক হিসেবে সর্বোচ্চ ছিল এবং তা মূলত ওমিক্রনের কারণেই ঘটেছে।

তবে ক্লুজ বলেন, হাসপাতালে ভর্তির হার যে বেড়ে চলেছে তা প্রধানত যেসব দেশে টিকা দানের হার কম সেখানে। নতুন সংক্রমণের হারের মতো তা হয়তো দ্রুত বৃদ্ধি পায়নি এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলিতে রোগী ভর্তির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি। এদিকে, কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার একই রয়েছে।

ক্লুজ বলেন, মহামারী এখনও শেষ হয়নি তবে প্রথমবারের মতো তিনি এই রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তিনটি কারণকে সম্ভাবনা হিসাবে দেখেছেন: টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং কোভিড -১৯এ যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে; ঐ অঞ্চলে শীত চলে যাওয়ার ফলে ঋতুর অনুকূল পরিবর্তন; এবং এখন এটা নিশ্চিত যে বর্তমানে ওমিক্রন প্রকরণের তীব্রতা কম।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, এই যে কারণগুলো আমরা দেখছি তা "দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রশান্তির” সম্ভাবনা এবং সর্বোচ্চ সংখ্যাক জনগোষ্ঠীকে পুনরায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে এমনকি মারাত্মক ধরণের সংক্রমিত ওমিক্রোন প্রকরণের ক্ষেত্রেও।

ক্লুজ এটিকে অভিহিত করেন এভাবে যে "এটা একটি যুদ্ধবিরতি যা আমাদের স্থায়ী শান্তি এনে দিতে পারে" তবে কেবল মাত্র যদি দেশগুলি টিকা দেওয়া এবং সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ অব্যাহত রাখে এবং তারা যদি মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্বের মতো "আত্মরক্ষামূলক আচরণ" বজায় রাখেন। তিনি এও বলেছেন, "সরকারী নজরদারীর মাত্রা কমে গেলে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় তার প্রভাব পড়বে।

ইউরোপের আরও অনেক দেশ, সরকার-আরোপিত কভিড-১৯-সম্পর্কিত বিধি-নিষেধগুলো কমিয়েছে বা তা প্রত্যাহার করছে।

ক্লুজ বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করতে কর্মকর্তাদের নজরদারি জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন প্রকরণ অনিবার্য তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে সেগুলোর মোকাবিলাও সম্ভব কোন রকম বাধা প্রয়োগ না করেই যা কীনা মহামারীর প্রথম দিকে করার প্রয়োজন ছিল।