ইউক্রেনের যুদ্ধে বাস্তুচ্যুতদের জন্য ইউএনএইচসিআর-এর ব্যাপক ত্রাণ প্রচেষ্টা

পোল্যান্ডের মেডিকা সীমান্তে প্রতিবেশী ইউক্রেন থেকে আগত শরণার্থীরা, ১০ মার্চ, ২০২২।

জেনেভা — রাশিয়ার আক্রমণের ফলে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয় যারা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের সাহায্য ও সুরক্ষার জন্য একটি বিশাল ত্রাণ অভিযান শুরু করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআর।

জাতিসংঘের সর্বসাম্প্রতিক অনুমান, ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ২৫ লাখেরও বেশি শরণার্থী ইতোমধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের সাথে সঙ্গতি রেখে বাস্তুচ্যুতি সংকটের পরিসংখ্যানগুলি দ্রুত গতিতে বাড়ছে।

পোল্যান্ডের জেজো থেকে ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ বলেছেন, তার সংস্থা প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কার্যক্রম বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, মারিউপোল এবং খারকিভের মতো প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে সংঘাত-আক্রান্ত সম্প্রদায়ের জন্য সাহায্য সুবিধা পৌঁছানো কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ।

তিনি বলেন, অনিবার্য বিপদ সত্ত্বেও, ইউএনএইচসিআর কর্মীরা অনুমতি সাপেক্ষে যখন এবং যেখানে পৌঁছানো সম্ভব, সেখানে পৌঁছে যাবার এবং সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সল্টমার্শ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সংঘাতে ১.২৫ কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেরই আগামী দিনে অন্যত্র সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্টে অভ্যর্থনা পরিস্থিতি উন্নত করতে, ইউএনএইচসিআর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করছে। তিনি বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে অনেক মানুষ ঘন্টার পর ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআর আইডিপিদের জন্য নগদ-সহায়তা কর্মসূচিকে বাড়িয়ে তুলছে, এবং জরুরি নগদ কর্মসূচীগুলি প্রতিবেশী দেশগুলিতেও চালু করা হচ্ছে, যেখানে ইউক্রেনীয়রা আশ্রয় প্রার্থনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই সংকটের শুরুতে, ইউএনএইচসিআর আনুমানিক ৪০ লাখ শরণার্থীকে সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সল্টমার্শ বলেছেন, এই সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে, কারণ যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে আরও অনেক শরণার্থীর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।