সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া—উত্তর কোরিয়া আপাতদৃষ্টিতে একাধিক রকেট উৎক্ষেপণ পদ্ধতি ব্যবহার করে আবারও একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে রবিবার (২০ মার্চ) জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে উৎক্ষেপণের পরিসর, দিক বা অস্ত্রের ধরণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে যে, সামরিক বাহিনী নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ পিয়ংগান প্রদেশ থেকে দেশটির পশ্চিম উপকূলের সাগরে এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
সিউলের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল উৎক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা করতে একটি জরুরি বৈঠক করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই বছর এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ১১ দফা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। গত বছর কিমের কৌশলগত অস্ত্র মহড়ার ইচ্ছা পূরণের অংশ হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলছে।
গত সপ্তাহে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপিত আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য-আকাশে বিস্ফোরিত হয় এবং পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ধ্বংসাবশেষের টুকরোগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নীরব রয়েছে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণটি বেশ বেপরোয়া ছিল বলে মনে হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উৎক্ষেপণটি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, উত্তর কোরিয়া শিগগিরই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের নাম করে একটি নতুন আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সম্পূর্ণ পরীক্ষা চালাতে পারে।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের চেয়ে একাধিক রকেট উৎক্ষেপণ পদ্ধতি পরীক্ষাকে কম বিপজ্জনক হিসেবে দেখা হবে। তবে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের অস্ত্র এখনো দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য একটি বড় হুমকি।
২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়া বারবার একটি নতুন সুপার-লার্জ-ক্যালিবার একাধিক রকেট উৎক্ষেপণ পরীক্ষা করেছে, যেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা কেএন ২৫–এর শ্রেণিভুক্ত করেছেন।
অনেক বিশ্লেষক কেএন ২৫–কে একটি "ব্যালিস্টিক মিসাইল" পদ্ধতি বলে মনে করেন। কারণ এটি অনেক বড় অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম।