বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি আজ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন এই দুই মন্ত্রী।
বৈঠকের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, “বিগত ৫০ বছরের স্মৃতি মনে করলেও, আমরা আসলে আগামী ৫০ বছরের সূচনার কথা চিন্তা করছি।” দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারিত্ব জোরদার করার বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্লিংকেন। তিনি এও জানান যে, কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে এই পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি ১০ লক্ষ ডোজ টিকা দান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে মানবতা ও উদারতা প্রদর্শন করেছে।" জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন।
বক্তব্য শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান তিনি।
Welcomed Bangladeshi Foreign Minister AK Abdul Momen at the @StateDept to discuss our partnership on economic growth, climate, peacekeeping, and refugees. We mark the 50th anniversary of U.S.-Bangladesh relations and look forward to many more years of working together. pic.twitter.com/PiinUjusws
— Secretary Antony Blinken (@SecBlinken) April 5, 2022
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তার বক্তব্যের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রায় ৬ কোটি ১০ লক্ষ ডোজ টিকা দান করার জন্য ধন্যবাদ জানান। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি দেশটির আচরণটিকে “গণহত্যা” হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের দুঃসময় এবং সুসময়ের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন একটি উজ্জ্বল ভবিষত্যের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিগত ৫০ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রকে এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন যে, দেশটি বাংলাদেশে সঞ্চিত বিনিয়োগের দিক থেকেও বৃহত্তম অংশীদার। তবে সেই বিনিয়োগের বেশিরভাগই জ্বালানী খাতে হয়েছে বলে ড. মোমেন বলেন যে, এখন হয়ত অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহী হবে।