কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ২৬ মে

কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ২৬ মে

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের অভিযোগে বাংলাদেশের বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে করা পৃথক দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ এপ্রিল) মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

দুই মামলার বিবাদীরা হলেন—বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, চিফ ডিজিটাল অফিসার সঞ্জয় ভাঘাসিয়া, চিফ করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও ভিএএসের প্রধান অনিক ধর।

এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে মাহফুজ আনাম ওরফে নগরবাউল জেমস, ব্যান্ড দল মাইলসের হামিন আহমেদ ও মানান আহমেদ কপিরাইট আইনে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।

আদালত অভিযোগ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বাংলালিংকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন বলেন, “নীলা তুমি” ও “ফিরিয়ে দাও”—মাইলস ব্যান্ডের এ দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংককে মৌখিকভাবে বলা হয়। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশও দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের বলা হয়। বারবার বলার পরও তারা গানগুলো সরায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাই। থানায় মামলা না নিলে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হই”।

মিজানুর রহমান মামুন আরও বলেন, “নগরবাউলের ছয়টি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলালিংক”।