সামরিক শক্তি প্রদর্শনীতে নতুন চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে সার্বিয়া

সার্বিয়ার বেলগ্রেডের কাছে বাতাজনিকা সামরিক বিমানঘাঁটিতে সামরিক মহড়ার সময় এইচ কিউ-২২ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেমগুলিকে দেখা যাচ্ছে। ৩০শে এপ্রিল, ২০২২

সার্বিয়া শনিবার তার নতুন চীনা তৈরি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল এবং রাশিয়া ও পশ্চিম উভয়ের কাছ থেকে কেনা অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করেছে। দেশটি ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের বিষয়ে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য রাখতে চায়।

জনসাধারণ এবং মিডিয়ার সদস্যদের বেলগ্রেডের কাছে বাটাজনিকা সামরিক বিমানঘাঁটিতে প্রদর্শন দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে চীনা এবং ফরাসি ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ইউরোপীয় এয়ারবাস হেলিকপ্টার, চীনা-সশস্ত্র ড্রোন এবং রাশিয়ান মিগ-২৯ জেটের পাশে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

সার্বিয়া নেটোর সাথে তার অংশীদারিত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে এবং রাশিয়ার সাথে শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয়, জাতিগত, ও রাজনৈতিক জোট থাকা সত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করছে।

বেলগ্রেড ২০১৯ সালে রাশিয়ার সি-৩০০ বা ইউএস প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের অনুরূপ চীনা এফকে-৩ সারফেস-টু-এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছিল এবং এই মাসের শুরুতে তা সরবরাহ করা হয়।

সার্বিয়া একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যারা চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং সি এইচ-৯২এ যুদ্ধ ড্রোন পরিচালনা করে।

প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক শনিবারের প্রদর্শনী সামরিক কমান্ডারদের সাথে পরিদর্শন করেন এবং ২০১৭ সালে রাশিয়ার দান করা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে রাখা মিগ-২৯ জেট সমন্বিত একটি অ্যারোবেটিক্স শো দেখেন।

ভুসিক একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "আমি সার্বিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত, আমি তাদের দুর্দান্ত অগ্রগতির জন্য গর্বিত। আমরা আমাদের ফাইটার বিমান বাহিনীকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে যাচ্ছি। সার্বিয়া একটি নিরপেক্ষ দেশ এবং সার্বিয়াকে অবশ্যই এমন সমাধান খুঁজে বের করতে হবে যা তার আকাশ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়।"