রাশিয়ার 'সাইবার যোদ্ধারা' বিদেশী নেতাদের টার্গেট করছে, বলছে ব্রিটেন

রাশিয়ার মস্কোর রেড স্কয়ারে ক্রেমলিনের স্পাসকায়া টাওয়ার (মাঝে) এবং সেইন্ট ব্যাসিল’স ক্যাথিড্রাল (বামে)। ৭ মে ২০২০। (ফাইল ফটো)

রাশিয়ার “সাইবার যোদ্ধারা” বিদেশী নেতাদের বিরুদ্ধে এক নতুন আগ্রাসন আরম্ভ করেছে। সামাজিক মাধ্যমগুলোকে লক্ষ্য করে তারা ব্যাপক পরিসরে অপতথ্য অভিযান চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা ইউক্রেনে আক্রমণটিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ব্রিটেনের অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থের বিনিময়ে কাজ করা এসব কর্মীরা সেন্ট পিটার্সবার্গের এক কারখানা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে সমর্থক জোগাড় ও তাদের সমন্বয় করে। পক্ষান্তরে এই সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে ক্রেমলিনের সমালোচকদের অ্যাকাউন্টগুলোকে কমেন্টের বন্যায় ভাসিয়ে দেন। সেসব কমেন্টে তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পক্ষ সমর্থন করে কথা বলেন। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতর রবিবার এমনটি জানিয়েছে।

তথাকথিত এই ট্রল ফ্যাক্টরি, সামাজিক মাধ্যমগুলোর কাছে সনাক্ত হওয়া এড়াতে নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। তারা ভুয়া অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে বৈধ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কমেন্ট পোস্ট করে এবং ক্রেমলিনপন্থী কন্টেন্টগুলোকে ছড়িয়ে দেয়। সেসব কন্টেন্টও তারা নিজেরা তৈরি না করে বৈধ ব্যবহারকারীদের দিয়ে তৈরি করায় বলে, পররাষ্ট্র দফতর জানায়। আটটি সামাজিক মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমের চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, টেলিগ্রাম, টুইটার, ফেসবুক এবং টিকটক।

পররাষ্ট্র দফতর বলছে যে, কার্যক্রমটি বেশ কয়েকটি দেশে রাজনীতিবিদ এবং আরও ব্যাপক পরিসরের দর্শকদের উদ্দেশ্য করে কাজ করেছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত। ধারণা করা হচ্ছে যে, এটির সাথে ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন-এর যোগসূত্র রয়েছে। ক্রেমলিনের প্রভাব খাটানোর কার্যক্রমে অর্থায়ন করার কারণে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন উভয়েই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।