চীনে একটি ভবন ধসের প্রায় ৬ দিন পর জীবিত উদ্ধার

সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত এই ছবিতে, মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের চাংশায় ৫ মে ধসে পড়া একটি স্ব-নির্মিত আবাসিক কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৩২ ঘন্টা আটকে থাকার পর উদ্ধারকর্মীরা ১০তম জীবিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করছে

বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মধ্য চীনে প্রায় ছয় দিন আগে আংশিকভাবে ধসে পড়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারীরা একজন নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে।

অজ্ঞাতপরিচয় এই নারী হচ্ছেন চাংশা শহরের দুর্যোগের এমন দশম ব্যক্তি যিনি জীবিত রয়েছেন। এই দুর্যোগে কমপক্ষে পাঁচজন মারা গেছে এবং সম্ভবত কয়েক ডজন, এখনও নিখোঁজ রয়েছে৷

সরকারি সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পরপরই এই নারীকে উদ্ধার করা হয়, ২৯শে এপ্রিল হঠাৎ করে ছয়তলা ভবনের পেছনের অংশটি ভেঙ্গে পড়ার প্রায় ১৩২ ঘণ্টা পর।

সিনহুয়া জানিয়েছে, ঐ নারী সচেতন ছিলেন এবং উদ্ধারকারীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে কীভাবে তাকে আরও আঘাত না দিয়ে বাইরে বের করা যায়। অনুসন্ধান কার্যক্রমে কর্মীরা কুকুর এবং হ্যান্ড টুলের পাশাপাশি ড্রোন এবং ইলেকট্রনিক লাইফ ডিটেক্টর ব্যবহার করেছিল।

হাসপাতালে চিকিৎসার পর বেঁচে যাওয়া সকলের অবস্থা ভালো বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে, যারা বেঁচে ছিল তাদের খাবার বা পানি ছাড়াই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল।

শিনহুয়া যাকে "স্ব-নির্মিত ভবন " হিসাবে বর্ণনা করেছে সেটি ধসে পড়ার ঘটনায় এর মালিক সহ অন্তত নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করা বা অন্যান্য নিয়ম লঙ্ঘন করার সন্দেহে এদের আটক করা হয়েছে।

এছাড়াও নকশা ও নির্মাণের দায়িত্বে থাকা তিনজন এবং অন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে, যারা ভবনের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ তলায় একটি গেস্ট হাউজের জন্য নিরাপত্তা সম্পর্কে মিথ্যা মূল্যায়ন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভবনটিতে বাসস্থান, একটি ক্যাফে এবং দোকানও রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্ব-নির্মিত বিল্ডিংগুলির ধসের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত মাসে কাঠামোগত দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করার জন্য অতিরিক্ত পরীক্ষার আহ্বান জানান।