অগাস্ট থেকে ইরানের তেল রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে—বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট

ফাইল: ইরানের তেহরানে জাতীয় সেনা দিবসের কুচকাওয়াজে বক্তৃতা দিচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ১৮ এপ্রিল ২০২২।

ইরানের প্রেসিডেন্ট সোমবার (৯ মে) জানিয়েছেন, তেল রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, তিনি অগাস্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ইরান দ্বিগুণ পরিমাণ তেল রপ্তানি করছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন ইব্রাহিম রাইসি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি বা কী পরিমাণ তেল রপ্তানি হচ্ছে তাও উল্লেখ করেননি তিনি।

তিনি বলেন, “তেল রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে এবং তেল রপ্তানি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই”।

ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন এবং ফলশ্রুতিতে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন রুশ অপরিশোধিত তেলের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে তখনই রাইসি এই মন্তব্য করলেন। রাশিয়ার তেলের সম উপাদানসম্পন্ন তেল উৎপাদনকারী ইরান বিশ্ব তেল বাজারের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

যুদ্ধ এবং সরবরাহ ঘাটতির কারণে তেলের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মার্চে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) মূল্য প্রতি ব্যারেল ১৪০ ডলারে পৌছায়, যার ফলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। সোমবার ব্রেন্টের প্রতি ব্যারেল তেলের মূল্য ছিল ১০৫ ডলার।

তেলের প্রাচুর্য ইরানের সরকারি অর্থসংস্থানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা এখন আগের তুলনায় কয়েক বিলিয়ন ডলারের বেশি অপরিশোধিত তেল বিক্রি করছে।

এপ্রিলে ইরানের তেলমন্ত্রী জাভাদ ওজি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, রাইসি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশটির তেল রপ্তানি ৪০ শতাংশ বেড়েছে।