বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপ: বাংলাদেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার লক্ষ্যে, শিগগির ‘ইইউ-বাংলাদেশ মিনিং বিজনেস’ অনুষ্ঠিত হবে। এর লক্ষ্য হলো- ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে, বাংলাদেশ ও ইউরোপের মধ্যে ঘনিষ্ট সহযোগিতার ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক হতে পারে, এমন সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক খাতগুলোকে তুলে ধরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত সপ্তম ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপের পর, এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চেম্বার অব কমার্স- ইউরোচাম প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর লক্ষ্য, বাংলাদেশি ও ইইউ-এর বেসরকারি খাতের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করা। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যথাযথ ও টেকসই ব্যবসায়িক সম্পর্কের কল্যাণে, ইউরোপের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংযোগকারী উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।”

এটি ইবিএ-পরবর্তী বাণিজ্যে, বাংলাদেশের উত্তরণ সুগম করতেও সাহায্য করবে।

ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের মে মাসে। বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের লক্ষ্য হলো; যৌথভাবে বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্য অংশীদার ও বাংলাদেশে এফডিআইয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ইইউ-এর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহজতর করা।

বিবৃতিতে বলা হয়, “২০২১ সালে ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় এক হাজার ছয়শ’ কোটি ইউরো। বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি ছিল তিনশ’ কোটি ইউরো।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. তপন কান্তি ঘোষ এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্ল্যানারিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। এতে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেনের ইইউ কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইইউ বেসরকারি খাতের কয়েকজন প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন।