বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য, ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে। এই বাজেট শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হচ্ছে। এবারের বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য; “কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন।”
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২২ অনুমোদিত হয়। এর আগে বুধবার (২৯ জুন) কিছু পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে অর্থ বিল-২০২২ পাস হয়েছে।
সংসদীয় অনুমোদনের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও বেসরকারি ব্যয় তহবিল নিয়ে, অর্থমন্ত্রণালয়ের সভায় গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করে, অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে, ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন।
এর আগে, বিরোধীদলের সংসদ সদস্যগণ মোট ৬৬৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো পরে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। জাতীয় পার্টি, বিএনপি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র সদস্যসহ মোট ১৩ জন সংসদ সদস্য বাজেটের ওপর তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।তারা হলেন; কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, পনির উদ্দিন আহমেদ, হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, মোকাব্বির খান, রুমিন ফারহানা এবং রেজাউল করিম বাবলু।
তবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবে তারা আলোচনা করেন।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মধ্যাহ্নভোজের বিরতি না দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দাবি পাসের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে গিলোটিন প্রয়োগ করেন। সংসদে বিলটি পাস হওয়ার সময়, বিরোধী ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও, বিল পাসের বিরুদ্ধে কোনো আওয়াজ তোলেননি।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য, ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫.৬ শতাংশ।