আংশিক বিদেশী মালিকানাধীন শক্তি প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে রাশিয়া

সাখালিন এনার্জির একজন কর্মচারী ইউঝনো-সাখালিনস্কের প্রায় ৭০ কিমি (৪৪ মাইল) দক্ষিণে প্রিগোরোডনয়েতে সাখালিন-২ প্রকল্পের লিকুইফেকশন গ্যাস প্লান্টে দাঁড়িয়ে আছে। ১৩ অক্টোবর, ২০০৬।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি প্রধান তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্পের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। যা আংশিকভাবে শেল এবং দুটি জাপানি কোম্পানির মালিকানাধীন ছিল। এখন এটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি রুশ প্রতিষ্ঠানের অধীনে। ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে পশ্চিমের সাথে উত্তেজনার মধ্যে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার দিনের শেষে পুতিন একটি নতুন কোম্পানি তৈরির আদেশ দেন যা সাখালিন এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি থেকে মালিকানা গ্রহণ করবে। এই কোম্পানি প্রায় ৫০ ভাগ ব্রিটিশ শক্তি জায়ান্ট শেল এবং জাপান ভিত্তিক মিত্সুই এবং মিতসুবিশি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

পুতিনের আদেশটিকে "রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থ এবং এর অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি" বলে নাম দেয়া হয়েছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি সাখালিন-২ তে সরিয়ে নেয়ার কারণ হিসেবেই এমন নামকরণ ।

প্রেসিডেন্টের এই আদেশ বিদেশী সংস্থাগুলিকে এক মাস সময় দিয়েছে যে তারা নতুন কোম্পানিতে একই শেয়ার ধরে রাখতে চায় কিনা।

রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক গ্যাস জায়ান্ট গ্যাজপ্রম এর সাখালিন-২-এ একটি নিয়ন্ত্রণমূলক অংশীদারিত্ব রয়েছে, এটি সমুদ্রের অদূরে দেশের প্রথম গ্যাস প্রকল্প যেখানে বিশ্ব বাজারের প্রায় ৪ শতাংশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির উত্পাদন করা হয়। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন প্রকল্পের তেল এবং এলএনজি রপ্তানির প্রধান গ্রাহক।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ শুক্রবার বলেছেন যে পুতিনের আদেশের পরে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আশা করার কোনও কারণ নেই।