জি-টুয়েন্টি বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতি নিন্দা জানাল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা

ইন্দোনেশিয়ার বালি’র নুসা দুআ-তে জি-টুয়েন্টি অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন রাশিয়ার সহকারি অর্থমন্ত্রী তিমুর ম্যাক্সিমভ, ১৫ জুলাই ২০২২।

ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে শুক্রবার পশ্চিমা অর্থমন্ত্রীরা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতি নিন্দা জানিয়ে, রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সংঘটিত অত্যাচারে সহযোগিতার অভিযোগ করেন।

রাশিয়ার সামরিক আক্রমণ চলাকালীন দুইদিনব্যাপী এই বৈঠকটি ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আরম্ভ হয়। আক্রমণের ফলে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বৈঠকটির এক সপ্তাহ আগে রাশিয়ার শীর্ষ কুটনীতিকরা এই ফোরামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন।

অর্থ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তার তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন উদ্বোধনী অধিবেশনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদলকে বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের জন্য একমাত্র রাশিয়াই দায়ী।রাশিয়ার কর্মকর্তাদের এটি স্বীকার করা উচিৎ যে, পুতিন প্রশাসনের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের মাধ্যমে তারা এই যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতিতে অবদান রাখছেন। নিরীহ মানুষের জীবনহানির দায় আপনাদের উপরও বর্তায়।”

কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডও তার কথার প্রতিধ্বণি তোলেন। কানাডার এক কর্মকর্তা জানান যে, ফ্রিল্যান্ড রাশিয়ার প্রতিনিধিদলকে বলেন যে, আক্রমণে তাদের সমর্থনের কারণে তারাও ইউক্রেনে “যুদ্ধাপরাধের” জন্য দায়ী।

রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী অ্যান্টন সিলুয়ানভ এবং ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী সের্হি মারশেঙ্কো, উভয়ই বৈঠকটিতে ভার্চুয়ালভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

তাদের পরিবর্তে রাশিয়া তাদের সহকারি অর্থমন্ত্রী তিমুর ম্যাক্সিমভকে সশরীরে বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য পাঠিয়েছে। ইয়েলেন ও ফ্রিল্যান্ড, উভয়ের নিন্দা প্রকাশের সময়েই ম্যাক্সিমভ সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে, বৈঠকে উপস্থিত এক সূত্র জানায়।

আয়োজক এবং জি-টুয়েন্টি সভাপতি ইন্দোনেশিয়া, মন্ত্রীদের সতর্ক করে বলে যে, জ্বালানী ও খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থ হলে তা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলইয়ানি ইন্দ্রাবতী “সহযোগিতার” মনোভাবে একসাথে কাজ করার জন্য মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান কারণ সমাধানের জন্য “বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে”।