রুশ কর্মকর্তা ওডেসাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করেছেন

একটি কুকুরসহ একজন ইউক্রেনীয় সৈনিক মাইকোলাইভ অঞ্চলে সামনের সারিতে অবস্থান করছে। ২৩ জুলাই, ২০২২।

রবিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনিবার ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দর ওডেসার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। এটি ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর।

এর আগে রাশিয়া শনিবারের হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল। ইউক্রেনকে তার কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে লাখ লাখ টন শস্য পাঠানোর অনুমতি সংক্রান্ত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চুক্তি স্বাক্ষর করার একদিন পরে এই হামলা করা হয়।

রুশ ওই কর্মকর্তার সম্পূর্ণ বিপরীত তথ্য দেয়ার কারণ কী তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এই চুক্তিকে বিপন্ন করার জন্য রাশিয়াকে তিরস্কার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শনিবার গভীর রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে একই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সাসপিলন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেনি এবং সরকারি একজন মন্ত্রী বলেছেন, দেশটির কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে। রয়টার্স এ সংবাদ জানায়।

ঐ হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক ঐ হামলাকে “আপত্তিজনক” বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি টুইটারে পোস্ট করেন, “ক্রেমলিন খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। রাশিয়াকে অবশ্যই দায়ী করা উচিত।”

ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল রাশিয়ার পদক্ষেপকে “নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।

জেলেন্সকি বলেন, ওডেসার হামলা প্রমাণ করে যে, মস্কো শস্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করার উপায় খুঁজে বের করবে।

টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জেলেন্সকি বলেছেন, “এটি শুধুমাত্র একটি বিষয়ই প্রমাণ করেঃ রাশিয়া যাই বলুক এবং প্রতিশ্রুতি করুক না কেন, তারা এটি বাস্তবায়ন না করার উপায় খুঁজে বের করবে।”