খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করা বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।রাযযাক

বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তাদের দ্রুত খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় তিনি, খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর কোনক্রমেই নির্ভরশীল থাকা যাবে না। আন্তর্জাতিক বিশ্ব খুবই নির্দয় ও নিষ্ঠুর; দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে তাদের মধ্যে কোন মানবতাবোধ, গণতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ কাজ করে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ‘শস্য রপ্তানির’ একটি চুক্তি হয়েছে; কিন্তু নানা অজুহাতে সেটি এখনও কার্যকর হয়নি। এরকম অস্বাভাবিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে না পারলে, টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া যাবে না।”

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে, রাজশাহী শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে, রাজশাহী, রংপুর বিভাগসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দ্রুত চালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্রি ২৮ এবং অন্য পুরোনো জাতের ধানের পরিবর্তে, নতুন উদ্ভাবিত বেশি উৎপাদনশীল জাত ব্রিধান ৮৯, ৯২, ১০০ এবং অন্য নতুন জাতগুলো কৃষকের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিন ও জনপ্রিয় করুন। এ জাতগুলোর ফলন, বিঘাতে ৩০ মণের বেশি হয়। এগুলো চাষ করলে চালের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়ান সম্ভব হবে।”

কৃষিমন্ত্রী বলেন, “ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। অন্যদিকে, কৃষি জমি কমছে। এ অবস্থায়, এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে, কৃষিকে বিজ্ঞান ভিত্তিক করতে হবে, যান্ত্রিক করতে হবে, আধুনিক করতে হবে। উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব হবে।”

কর্মশালায় বিদ্যমান শস্য-বিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি ও উচ্চ উৎপাদনশীল ধানের জাত চাষের মাধ্যমে তেল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা ও করণীয় বিষয়ে ৫ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।