বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জনমিতিক সুবিধাকে লভ্যাংশে পরিণত করতে হলে, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।” রবিবার (৩১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) গভর্নিং বোর্ডের প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে প্রতি বছর ২২ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে যুক্ত হয়। তারা যেন শুধু চাকরি খোঁজার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠে, সে জন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণ খুবগুরুত্বপূর্ণ। সরকার জনমিতিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে, রূপকল্প ২০৪১ অর্জন করে দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে চায়।তাই, তরুণদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে “
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। এজন্য আমাদের লক্ষ্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী রয়েছে। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনমিতিক সুবিধা বেশি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে চাই। বাংলাদেশ দেশ-বিদেশ থেকে বিনিয়োগ চায়, যেখানে দক্ষ জনশক্তি মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।”বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে ও পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। আমাদের রপ্তানি বাস্কেট প্রসারিত করতে হবে।”
নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং তাদের চাহিদা খুঁজে বের করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য নতুন পণ্য উৎপাদন করতে, আমাদের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।”
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “শুধু আমরা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাব না। আমরা অন্যান্য দেশেও বিনিয়োগ করতে পারি। এই সবের জন্য আমাদের দক্ষ জনবল দরকার।”
তরুণ প্রজন্মকে শুধু সনদ পাওয়ার পরিবর্তে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।