চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা, বেইজিংকে সংযত হতে পরামর্শ ভারতের

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি

চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে চলতি উত্তেজনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল ভারত। শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে চীনকে সংযমী হতে বার্তা দেওয়া হয়েছে।

তাইওয়ান বলছে, চীনের সামরিক মহড়ার তেজ কমলেও তারা হুমকি দিয়েই চলেছে। চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে সাম্প্রতিক অচলাবস্থার সময় এই প্রথম ভারত চীনকে সংযম দেখানোর পরামর্শ দিল। নয়াদিল্লীর বক্তব্য, চীন-তাইওয়ান সংঘাত নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। চীনের উচিত স্থিতাবস্থা বজায় রাখা।

তাইওয়ানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি শুক্রবার বলেন, "ভারতের নীতি সম্পর্কে সকলেই অবহিত। অন্যান্য অনেক দেশের মতো আমরাও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সংযম দেখানো, উত্তেজনা কমানোর পাশাপাশি এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করার আহ্বান জানাচ্ছি।"

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র সেনেটের স্পিকারের সম্প্রতি তাইওয়ান সফর ঘিরে বেইজিংয়ের সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাইওয়ানকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয় আমেরিকা।

তবে কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে ভারতের এই প্রতিক্রিয়াঢ় পিছনে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং কুখ্যাত এক পাক জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রস্তাবে চীনের আপত্তি নয়াদিল্লীর বেইজিংয়ের উপর বাড়তি ক্ষোভের কারণ হতে পারে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাক নাগরিক, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গী আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রস্তাবে আপত্তি জানায় চীন।

সাম্প্রতিক কালে দু’বার পেশ করা প্রস্তাব চীনের আপত্তিতে আটকে যায়। চীনের এই আচরণে ভারত ক্ষুব্ধ, জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। অরিন্দম বাগচীর কথায়, "উপযুক্ত কারণ ব্যতিরেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কোনও প্রস্তাব আটকে দেওয়ার চলতি প্রবণতার অবসান হওয়া উচিত।"