আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
এর আগে, ২০০২ সালে সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলে, ২০০৩ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস।
রিট আবেদনে বলা হয়, লুই আই কানের মূল নকশা লঙ্ঘন করে সংসদ ভবন এলাকায় এসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট ঐ রিট আবেদনের ওপর দেয়া রায়ে বলেছিলেন, সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ কার্যক্রম অবৈধ। সেই সঙ্গে রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণার নির্দেশ দেন।
এরপর, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দেন। পরে, রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করলে, তা অনুমোদন করেন আপিল বিভাগ। এই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করেন।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকা অবস্থায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ শেষ হয়। ২০১৫ সালে আপিলের শুনানিকালে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে লুই আইকানের মূল নকশা দাখিল করতে বলেন। মূল নকশা বিদেশ থেকে এনে তা দাখিল কর হয়।
হাইকোর্টের ঐ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল-এর ওপর আজ (১৬ আগস্ট) রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে হাইকোর্টের রায় (স্যাটাসাইড) বাতিল করেন আপিল বিভাগ।