ইউরোপীয় মিত্রদের উপর অর্থনৈতিক প্রভাব হ্রাস করতে, রাশিয়াকে পরাজিত করার নিজেদের প্রচেষ্টায় “সর্বোচ্চ সমর্থনের” জন্য সোমবার আহ্বান জানায় ইউক্রেন। অপরদিকে, জার্মানীতে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার জন্য রাশিয়া আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা বলেন যে, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে [রাশিয়ার] সামরিক আগ্রাসন, [এবং] ইইউ নাগরিকদের জ্বালানীর জন্য জিম্মি করা, ইইউ দেশগুলোতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির” জন্য দায়ী।
কুলেবা টুইটারে লেখেন, “সমাধান: ইউক্রেনের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন, যাতে করে আমরা দ্রুত পুতিনকে পরাজিত করতে পারি এবং তিনি ইউরোপকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারেন।”
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন যে, নর্ড স্ট্রিম ওয়ান সরবরাহ লাইনটির রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো “চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে”। রাশিয়ার জ্বালানী সরবরাহকারী কোম্পানী গ্যাজপ্রম লাইনে ছিদ্র থাকার কথা বলে গত সপ্তাহে ঐ সরবরাহ লাইনটি বন্ধ করে দেয়।
ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনের সরকারকে গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে এবং ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছে। দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্রয়কৃত জ্বালানীকে অস্ত্রে পরিণত করার অভিযোগ করেছে।
পেসকভ বলেন, “আমাদের দেশের উপর পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেই দেশগুলোর মধ্যে জার্মানী ও ব্রিটেনও রয়েছে।”
এদিকে, গ্রুপ অফ সেভেনের (জি-সেভেন) দেশগুলো রাশিয়ার তেল রফতানীর মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের একটি প্রস্তাব করেছে, যাতে করে রাশিয়ার তেল বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফা সীমাবদ্ধ করা যায়, যেই মুনাফা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টার অর্থায়নে সহায়তা করছে।
এর পাল্টা জবাবে, রাশিয়া বলেছে, যে সকল দেশ এমনভাবে মূল্য সীমাবদ্ধ করায় অংশগ্রহণ করবে, তারা সেসব দেশের কাছে তেল বিক্রি করবে না।