জিম্বাবুয়েতে হামে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু

হারারেতে একটি ক্লিনিকে একটি শিশুকে হামের টিকা দেয়া হচ্ছে। ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

জিম্বাবুয়েতে হামে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের বেশিরভাগ শিশু এবং যুবক।

মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের সরকার বলেছে, এপ্রিলের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে হাজার হাজার মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৬৯৮ জন মারা গেছে। মৃতের বেশিরভাগই শিশু।

প্রাদুর্ভাবের জন্য জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রক কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়কে দায়ী করেছে। তারা জানায়, কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং ঐতিহ্যবাহী নেতারা টিকা নেয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তখন থেকে সংক্রামক রোগটিকে রোধ করার জন্য চেষ্টা করছে। সংক্রমণের ফলে ফুসকুড়ি, কাশি এবং উচ্চ মাত্রার জ্বর হয়ে থাকে এবং টিকা না দেয়া শিশুদের জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে।চ

ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রোধে জিম্বাবুয়েতে বাধ্যতামূলক টিকা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচেষ্টাটি সুসংগঠিত হতে হবে।

জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এখনো হামের টিকা বাধ্যতামূলক করেনি এবং তাদের তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানা যায়নি।

কিন্তু তারা ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে টিকা দেয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে, এবং যারা এর বিরোধিতা করে তাদেরকে টিকার ব্যাপারে জানানোর জন্য জাতিসংঘের শিশু তহবিল, ইউনিসেফের মতো সহায়তা গোষ্ঠীর সাথে কাজ করছে।

ইউনিসেফ জিম্বাবুয়ের ডাঃ তাজুদিন ওয়েওয়ালে বলেছেন, তার সংস্থা এবং অন্যরা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাথে কাজ করছে।

হামের প্রাদুর্ভাব প্রথম রিপোর্ট করা হয়েছিল মোজাম্বিকের সীমান্তবর্তী জিম্বাবুয়ের ম্যানিকাল্যান্ড প্রদেশে। তারপর থেকে এটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।